অর্ণব আইচ: পাহাড়ের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের। তাতে নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার। নিয়োগ মামলায় এই প্রথম রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হল।
বছর দুয়েক আগে গত ২০২২ সালে জিটিএর অধীন একাধিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। জিটিএ-র মুখ্য কার্যনিবাহী আধিকারিক অনীত থাপা এবং বিনয় তামাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা বেআইনিভাবে টাকার বিনিময়ে অন্তত ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। তারই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে 'গোর্খা আনএমপ্লয়েড প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'। সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানান। পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি করেন। এদিকে, এক সরকারি আধিকারিকও খোদ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে চিঠি লেখেন। তাঁর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: অশান্তি কেড়েছে সন্তান, যন্ত্রণা বুকে চেপে ইদে সম্প্রীতির বার্তা আসানসোলের সেই ইমামের]
বিধাননগর উত্তর থানার আইসিকে সরাসরি বিচারপতি বলেন, “আপনার কাজ খুব একটা কঠিন ছিল না। কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন আপনাকে এফআইআর করতে বলেছিলেন। আপনি যদি কাউকে আড়াল করতে চান, সেটা আপনার বিষয়। অভিযোগপত্র দেখেছেন? এখানে বিনয় তামাংয়ের নাম আছে। দেখেছেন? আপনি এফআইআর করলেন না কেন? আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ কেন করা হবে না?” মঙ্গলবারই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এর পর বুধবার এফআইআর করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পার্থ ছাড়াও এফআইআরে নাম রয়েছে জিটিএ নেতা বিনয় তামাং-সহ সাতজনের।