নিরুফা খাতুন: দুপুর ২টো স্কুল ছুটি। পড়ুয়াদের নিতে একটায় গাড়ি নিয়ে চলে আসছেন অভিভাবকরা। দীর্ঘক্ষণ স্কুলের রাস্তার সামনে গাড়ি পার্কিং করে রাখছেন। ফলে যানযট বাড়ছে। ট্রাফিকের চাপ কমাতে অভিভাবকদের স্কুলে আসার সময় বেঁধে দিয়েছে পুলিশ। স্কুল ছুটির ১৫ মিনিটের আগে অভিভাবকরা গাড়ি নিয়ে আসবেন। তার আগে এলে জরিমানা গুনতে হবে অভিভাবকদের।
লালবাজার ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে খবর, ছাত্রছাত্রীদের স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিভাবকদের গাড়িগুলিকে ১৫ মিনিট ছাড় দেওয়া হয়েছে। ছুটির ১৫ মিনিট আগে তাঁরা আসবেন। ছুটি হলে গাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে যাবেন। নির্ধারিত সময়ের আগে গাড়ি নিয়ে স্কুলে চলে এলে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে এসে ইতিমধ্যে কিছু অভিভাবককে জরিমানা গুনতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পেটের মধ্যে দেড় কেজির ‘রাক্ষস’! তিনমাসের শিশুর প্রাণ বাঁচাল এসএসকেএম]
শহরে গাড়ির চাপ বাড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানযট। বিশেষ করে স্কুল লাগোয়া রাস্তায় যানযট বেশি হচ্ছে। বেশি যানযট হচ্ছে ছুটির সময়। কারণ স্কুলে ছাড়তে আসার সময় অভিভাবকদের তাড়া থাকে। অনেকে অফিস যাওয়ার পথে বাচ্চাদের ছেড়ে যান। তখন কোনও রকমভাবে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তঁারা চলে যান। কিন্তু ছুটির সময় দেখা যায় অভিভাবকরা অনেক আগেই হয় চালককে দিয়ে স্কুলে গাড়ি পাঠিয়ে দেন। নাহলে নিজেরাই গাড়ি নিয়ে চলে আসেন। স্কুলের সামনে রাস্তায় গাড়ি রেখে গল্প করতে থাকেন। এভাবে রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় যানযট বেড়ে যায়। তখন যানযট সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতায় স্কুলে লাগোয়া রাস্তায় যানযট সমস্যা বেশি। যানযট রুখতে ছুটির সময় যাতে ধাপে ধাপে পড়ুয়াদের ছাড়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই আবেদন আগেই করেছিল ট্রাফিক পুলিশ।
অনেক স্কুল ট্রাফিকের আবেদনে সাড়া দিয়ে ধাপে ধাপে পড়ুয়াদের স্কুল থেকে ছাড়ছেন। ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক জানান, দক্ষিণ কলকাতায় অনেক বড় বড় স্কুল রয়েছে। সেখানে বেশিরভাগই পড়ুয়া ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে। সেই তুলনায় উত্তর কলকাতায় এখনও অধিকাংশ অভিভাবক ছেলেমেয়েকে পুলকারে স্কুলে পাঠান। যে কারণে উত্তরে স্কুলগুলিতে গাড়ির চাপ কিছুটা হলেও কম থাকে। তাই উত্তরে স্কুলের রাস্তায় যানযটও কম হয়। এখনও পর্যন্ত যতগুলি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে সেখানে দক্ষিণ কলকাতার সংখ্যা বেশি বলে জানা গিয়েছে।