shono
Advertisement

Breaking News

গুজরাট নির্বাচনের সূচি ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের, গণনা হিমাচলের সঙ্গেই

এবারে গুজরাটের লড়াই ত্রিমুখী।
Posted: 12:59 PM Nov 03, 2022Updated: 04:04 PM Nov 03, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণার ২০দিন পর গুজরাট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আগের বারের মতোই গুজরাটের ভোট হবে দু’দফায়। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৫ ডিসেম্বর। ভোটগণনা হবে ৮ ডিসেম্বর। ওইদিনই হিমাচলপ্রদেশেরও ভোটগণনার কথা। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে পুরো ভোটপ্রক্রিয়া।

Advertisement

গত ১৪ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। প্রত্যাশা ছিল সেদিনই গুজরাটের ভোটের দিনক্ষণও জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কমিশন সে পথে না হেঁটে সেদিন শুধু হিমাচল প্রদেশের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। আগামী ১২ নভেম্বর এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে হিমাচল প্রদেশের ৬৮ আসনে। পাহাড়ি এই রাজ্যটির ভোটের ফলাফল ঘোষণাও ৮ ডিসেম্বরই। প্রথাগতভাবে গুজরাট এবং হিমাচলের ভোট আলাদা আলাদাভাবে ঘোষণা করা হলেও দুই রাজ্যে ফলফল ঘোষণা একসঙ্গেই হয়। এবারেও সেই রীতি বজায় রেখেছে কমিশন। যদিও বিরোধীদের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতেই গুজরাটের ভোট ঘোষণায় এত দেরি। কংগ্রেসের গুজরাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রঘু শর্মা যেমন বলে দিচ্ছেন,”কেন হিমাচল এবং গুজরাটের ভোট আলাদা আলাদা দিনে ঘোষণা হল, সেটার ব্যাখ্যা কমিশনকে দিতে হবে। হিমাচলের ভোট ঘোষণার পরও গুজরাটে সরকারি টাকা এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে বিজেপি ভোটপ্রচার করার সুযোগ পেয়েছে।”

[আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ে রাজ্যপাল লা গণেশনের পারিবারিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী, কথা রজনীকান্তের সঙ্গে]

১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় গত ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এই মুহূর্তে সে রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১১১। বিরোধী কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৬২। শেষবার গুজরাটে ভোট হয় ২০১৭ সালে। সেবার বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন। আর কংগ্রেস আশির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তারপর অবশ্য কংগ্রেস অনেক দুর্বল হয়েছে। একে একে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের ১৭-১৮ জন বিধায়ক। হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকোরদের মতো তরুণ নেতারাও এখন বিজেপিতে। তার উপরে আম আদমি পার্টির এন্ট্রি গুজরাট রাজনীতিতে ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে।

[আরও পড়ুন:ফের দিল্লির ইডি দপ্তরে অনুব্রতকন্যা, সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা]

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি সেরাজ্যে বিরোধী পরিসর দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাতে যে কংগ্রেসেরই ক্ষতি হবে সেটা বলাই বাহুল্য। যদিও কংগ্রেসের দাবি, আপ তৃণমূল স্তরে নেই। শুধু সংবাদমাধ্যমেই অস্তিত্ব রয়েছে তাদের। হাত শিবির আশাবাদী যে, আসন্ন নির্বাচনে তারাই জয়ী হবে। কংগ্রেসের দাবি, গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল। তার উপরে মোরবির সেতু ভাঙার মতো ইস্যু কংগ্রেসকে সুবিধা দেবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার