shono
Advertisement

Breaking News

গুজরাটে গোশালার ভিতরেই করোনা সেন্টার, রোগীর চিকিৎসায় খাওয়ানো হচ্ছে গোমূত্রের ওষুধ

আয়ুর্বেদিক ওষুধের পাশাপাশি অ্যালোপ্যাথির ওষুধও দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।
Posted: 06:29 PM May 09, 2021Updated: 06:44 PM May 09, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) বনষ্কণ্ঠ জেলার তেতোড়া গ্রামের এক গোশালায় এবার তৈরি হল কোভিড কেয়ার সেন্টার। গোটা দেশে করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটের প্রভাব পড়েছে গুজরাটেও। লাফিয়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণে হাসপাতালে বেডের আকাল। পরিস্থিতি সামলাতে এবার এই গোশালাতেই খোলা হয়েছে এই করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ওষুধও দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। যা কিনা তৈরি হয়েছে গরুর দুধ ও গোমূত্র (Cow urine) থেকে।

Advertisement

‘বেদলক্ষণ পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদ কোভিড আইসোলেশন সেন্টার’ নামের এই কেন্দ্রটি রাজারাম গোশালা আশ্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। গত ৫ থেকে এই কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে। তবে কেবলমাত্র মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা হচ্ছে এখানে। এখানকার চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসঙ্গে ‘গোধাম মহাতীর্থ পথমেদা’র শাখা বনষ্কণ্ঠের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহন যাদব জানাচ্ছেন, ‘‘এখানে আমরা মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছি। রোগীদের আট রকম আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি তৈরি হয়েছে দুধ, ঘি ও গোমূত্র দিয়ে।’’

[আরও পড়ুন: মোদি সরকারের গাফিলতিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকেই আঙুল তুলল ‘ল্যানসেট’]

ঠিক কী ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এপ্রসঙ্গে মোহন যাদব জানিয়েছেন, পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ছাড়াও তাঁরা ‘গৌতীর্থ’-ও ব্যবহার করছেন। এই গৌতীর্থ তৈরি হয় দেশি গরুর মূত্র থেকে। তাছাড়া থাকে আরও নানা উপাদান। এছাড়া কাশির চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে তাও তৈরি গোমূত্র থেকে। পাশাপাশি গরুর দুধ থেকে তৈরি এক বিশেষ ধরনের ‘চ্যবনপ্রাশ’ও দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।
এই আইসোলেশন সেন্টারে দু’জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছাড়াও রয়েছেন দু’জন এমবিবিএস চিকিৎসক। কোভিড লক্ষণ থাকা গ্রামবাসীকে এখানে ভরতি রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে বিনামূল্যে। আপাতত এখানে রয়েছেন ৭ জন রোগী।

বনষ্কণ্ঠ জেলার কালেক্টর আনন্দ প্যাটেল জানিয়ে দিয়েছেন গোশালার ভিতরে কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করার আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছিল ওই গোশালাটি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম বার নয়। এর আগেও করোনা সারাতে গোমূত্রের নিদান দিতে দেখা গিয়েছে। খাস উত্তর কলকাতাতেই গত বছর গোমূত্র পানকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বৈরিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। এই শক্তি তিনি পান নিয়মিত গোমূত্র পানের ফলে।

[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা, দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউনের পক্ষে সওয়াল IMA’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement