সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘খারাপ’ মন্তব্য করা হয়েছে। তার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল গুজরাট (Gujarat)। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অবিলম্বে জেলে ফিরতে হবে বিলকিসের ধর্ষকদের। সেই মামলার রায় সংশোধন করতে চেয়েই আদালতের দ্বারস্থ গুজরাট সরকার।
বিলকিস বানোকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১১ জনকে। তার পর ২০১৯ সালে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় বিলকিসের ধর্ষকদের একজন। রাধেশ্যাম ভগবানদাস শাহের আবেদন ছিল, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যেন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে গুজরাট সরকার চাইলে মুক্তি দিতে পারে বিলকিসের ধর্ষকদের। সেই রায়ের ভিত্তিতেই ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তি পায় ১১ ধর্ষক।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কনভয়ে ঢুকে পড়ল গাড়ি, শাহজাহানের চক্রান্ত! অভিযোগ রাজভবনের]
গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তে তুমুল প্রতিবাদ শুরু হয় দেশজুড়ে। নিজের রায় খতিয়ে দেখুক সুপ্রিম কোর্ট, এই মর্মে আবেদন করা হয়। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত নির্দেশের অপব্যবহার হয়েছে। নিজের রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। সাফ জানিয়ে দেয়, ১৪ দিনের মধ্যেই ফের জেলে ফিরে আসতে হবে ১১ জন অপরাধীকে। পাশাপাশি মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে গুজরাট সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপব্যবহার করেছে গুজরাট। জালিয়াতি উপায়ে, তথ্য গোপন করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার এক মাস পরে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল গুজরাট সরকার। তাদের আবেদন, “রায় দেওয়ার সময়ে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক খারাপ মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অপরাধীদের সঙ্গে যোজসাজশ রেখেছিল সরকার। তথ্য গোপন ও নির্দেশের অপব্যবহারের মতো অভিযোগও আনা হয়েছে গুজরাটের বিরুদ্ধে। কিন্তু গুজরাট সরকার সমস্ত তথ্যই তুলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের হাতে,কারণ অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার এক্তিয়ার কেবল তাদের হাতেই ছিল।” সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকে গুজরাট সংক্রান্ত নেতিবাচক মন্তব্য যেন সরিয়ে নেওয়া হয়, নতুন করে সেই আবেদন করল সেরাজ্যের সরকার।