সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে গুজরাট (Gujarat) সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছিলেন। হাই কোর্টের (Gujarat High Court) সেই বিচারপতিকেই দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়ামের পরামর্শ মেনে বুর্জর পার্দিওয়ালা নামের ওই বিচারপতি ছাড়াও ‘প্রোমোশন’ হল গুয়াহাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার।
১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন পার্দিওয়ালা। ১৯৮৯ সালে আদালতে প্রবেশ আইনজীবী হিসেবে। ২০১১ সালে প্রথমবার হাই কোর্টের বেঞ্চের সদস্যপদ পান অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে। ২০১৩ সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন। এবার তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে উন্নীত করা হল। ২০৩০ সাল পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে টাকার স্তুপ, সম্পত্তি কলকাতাতেও! ঝাড়খণ্ডের IAS অফিসারের কীর্তিতে হতবাক ED]
২০২০ সালের মে মাসে গুজরাটে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করা হয় কোভিড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে। সেই মামলায় রাজ্যকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছিলেন পার্দিওয়ালা।আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালকে ‘অন্ধকূপ’ বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই রাজ্য প্রশাসনকে এবিষয়ে ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি করোনায় রাজ্যের মৃত্যুহার নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পার্দিওয়ালা। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই তাঁকে ওই মামলার ডিভিশন বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাপ্তাহিক রুটিন বদলের সময়।
এর আগে ২০১৫ সালে দেশের সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে ‘অসাংবিধানিক’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল পার্দিওয়ালার বিরুদ্ধে। সেই সময় পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল-সহ কয়েকজন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে। সেই মামলাতেই পার্দিওয়ালা মন্তব্য করেন, ”এই দেশের মূল সমস্যা দুর্নীতি ও সংরক্ষণ। এই কারণগুলির জন্য়ই দেশ সঠিক দিকে যেতে পারছে না।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল।