সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণপিটুনিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির কথা বলা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়। সোমবার দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে নতুন আইন। তার পরেই প্রকাশ্যে এল গুজরাটের নৃশংস গণপিটুনির ঘটনা। এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল হিন্দু জনতার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সলমন ভোহরা। স্থানীয় একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। অন্তত ৫ হাজার দর্শক ওই ম্যাচটি দেখতে গিয়েছিল বলে খবর। তার মধ্যে ছিলেন অন্তত ৫০০ মুসলিম। গোটা ম্যাচে মুসলিম খেলোয়াড়রা ভালো পারফর্ম করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় হিন্দুরা। খেলা চলাকালীনই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন।
অশান্তি চরমে ওঠে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর। মৃতের কাকার দাবি, মদ্যপ অবস্থায় এক ব্যক্তি এসে ঝগড়া শুরু করেন সলমনের সঙ্গে। বাইক রাখা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। সেখান থেকেই হাতাহাতি শুরু হয় দুজনের মধ্যে। অভিযোগ, হাতাহাতি দেখে ওই এলাকায় ভিড় জমান বেশ কয়েকজন হিন্দু। তাঁরা সলমনকে মারধর করার জন্য উৎসাহ দিতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: ‘৮০টা আসনের সব কটাতে জিতলেও ইভিএমকে বিশ্বাস করতে পারব না’, লোকসভায় দাবি অখিলেশের]
সলমনের কাকা বলেন, অভিযুক্তরা কামড়ে সলমনের কান ছিঁড়ে নিয়েছিল। এমনভাবে তাঁর পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, তাতে গুরুতরভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় সলমনের কিডনি। প্রবল মারের জন্য চোট লাগে কোমর এবং গলায়। আহত অবস্থায় সলমনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অন্যত্র রেফার করা হলেও বাঁচানো যায়নি সলমনকে। গোটা ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত ২২ জুনের এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেন গোটা ঘটনা। তাঁর দাবি, গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। তাঁর নাম এফআইআর থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন ওয়েইসি।