নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: গ্রেপ্তার দলিত নেতা তথা গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানি (Gujarat MLA Jignesh Mewani)। গ্রেপ্তারির কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গুজরাটের পালানপুর সার্কিট হাউজ থেকে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় অসম পুলিশ। রাতেই তরুণ দলিত নেতাকে আহমেদাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ট্রেনে চাপিয়ে জিগনেশকে আজ অর্থাৎ বূহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর।
বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই তরুণ তুর্কি বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-সহ একাধিক ধর্মীয় কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অভিযোগ, সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক একাধিক টুইট করেছিলেন জিগনেশ। অভিযোগ পেয়ে তাঁর সেই সমস্ত টুইট মুছেও দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। সেই টুইটের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারির কারণ এখনও জানানো হয়নি। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের (FIR) কপিও জিগনেশের পরিবারকে দেয়নি অসম পুলিশ (Assam Police)। তবে জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ সূত্রে খবর অসমে জিগনেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল রিপোর্টে লেখা যাবে না নির্যাতিতার নাম, ধর্ষণ মামলা পরিচয় গোপন রাখতে কড়া স্বাস্থ্যদপ্তর]
এদিকে একদা বাম মনোভাবাপন্ন জিগনেশ মেবানির (Jignesh Mewani) গ্রেপ্তারিতে সরব হয়েছে কানহাইয়া কুমার, স্বরা ভাস্কররা। টুইটারে গ্রেপ্তার খবর জানানোর পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। চলতি বছরের শেষেই গুজরাটের নির্বাচন। তার আগেই কংগ্রেসকে সমর্থনকারী ভাদগামের এই দলিত বিধায়ককে গ্রেপ্তারির পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, দিল্লির জেএনইউর ‘আজাদি’ বিতর্কের সময় কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদের সঙ্গে শিরোনামে এসেছিলেন জিগনেশ মেবানিও। প্রাক্তন সাংবাদিক জিগ্নেশ পরবর্তী সময় রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক হন। নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করে গুজরাটের বিধায়কও হন এই সমাজকর্মী। তবে ২০২১ সালে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে একইমঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা করেন এই তরুণ তুর্কি। বছর শেষেই যখন মোদির রাজ্যে নির্বাচন, তার আগে এই তরুণ তুর্কির গ্রেপ্তারির জেরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।