বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, গান্ধীনগর: প্রথম দফার ভোট প্রার্থীর প্রায় ২১ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। সংখ্যা প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ ভোটারদের। ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে বলে জানিয়েছে খোদ গুজরাট (Gujarat) নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে প্রায় একশোজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, খুন, জখম, দাঙ্গায় জড়িত থাকার মতো অভিযোগ রয়েছে। আবার ৯ জনের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণ, নারী পাচার বা প্রকাশ্যে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন অপরাধে অতীতে জেল খেটেছেন বা জামিনে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলি অপরাধের সংখ্যায় তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এডিআর (ADR) রিপোর্টে তা প্রকাশিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে মোদি-শাহদের রাজ্য গুজরাটও পিছিয়ে নেই। তার প্রতিফলন রয়েছে কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া নিজেদের খতিয়ানে। শনিবার কমিশনের তরফে প্রার্থীদের সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ করা হয় তা চমকপ্রদ। বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বা সাজা খেটে আসা প্রার্থী করার ক্ষেত্রে কোনও দলই পিছিয়ে নেই। তবে শীর্ষে রয়েছে এবারই মোদি গড়ের ভোটে প্রথমবার তেড়েফুঁরে নামা আম আদমী পার্টি (AAP)। তারপর রয়েছে কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপি।
[আরও পড়ুন: আদর পুনাওয়ালা সেজে তাঁরই সংস্থার কর্মীকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, কোটি টাকা খোয়ালো সেরাম]
কমিশন প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে প্রথম দফার ভোটে ন’জন এমন প্রার্থী রয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে খুন ও পাচারের, তিনজনের বিরুদ্ধে খুন ও বারোজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ১ ডিসেম্বর। সেখানে আপের ৮৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন, কংগ্রেসের ৮৯ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ ও বিজেপির (BJP) ১১ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার পুলিশ রেকর্ড রয়েছে। নেতারাই একথা কমিশনে জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এবার একসঙ্গে ৯টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ফের বড় সাফল্য ইসরোর]
যে তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁরা হলেন আমরেলি জেলার লাঠি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জনক তালবিয়া। তাপারা কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী বসন্ত প্যাটেল ও রাজকোট দক্ষিণ কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী অমরদাস দেশানি। বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ও জেলখাটা আসামীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। অপরাধীরা আইনসভায় গেলে কমিশন সম্পর্কেই মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলে অভিযোগ মানবাধিকার কর্মীদের।