সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্মার্টফোন না পেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী গুজরাটের (Gujrat) এক কিশোরী। লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসই ছিল তার একমাত্র ভরসা। কিন্তু কিশোরীর বাবা তা কিনে দিতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী হয় পড়ুয়া।
সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনের গতি বদলের চেষ্টায় মজেছে কিশোর সমাজ। সেই ঘটনারই শিকার গুজরাটের রাজকোটের এক কিশোরী। বাবার কাছে স্মার্টফোন চেয়ে না মেলায় অভিমানে আত্মঘাতী হয় সে। জানা যায়, গুজরাটের রাজকোটের বাসিন্দা ১২ বছরের খুশি। লকডাউনের জেরে প্রায় ৩ মাস বন্ধ স্কুল। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এখন অধিকাংশ পড়ুয়াদেরই ভরসা হয়ে ওঠে অনলাইন ক্লাস (Online Class) । কিন্তু জীবনের থেকে স্মার্টফোন মূল্য কী বেশি? এতই মূল্যবান যে তা না পেয়েই আত্মঘাতী হতে হয় ছোট্ট খুশিকে। খুশির বাবা জানান, “লকডাউনের জেরে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। ও আমার কাছে স্মার্টফোন চেয়েছিল। কিন্ত, এখন কিনে দিতে পারব না বলায় বেশ কয়েকদিন ওর মন খারাপ ছিল। কিন্তু এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।”
[আরও পড়ুন:ফের রাহুলের কংগ্রেস সভাপতি হওয়া নিয়ে জল্পনা, আগেভাগে আক্রমণে নামল বিজেপি!]
স্থানীয়দের কথায়, সোমবার সকালে খুশিকে পড়াশোনার কাজ শেষ করতে বলায় সে নানা অজুহাতে অন্য একটি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর মেয়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে ওর মা ওকে ডাকতে যায়। তখনই ঘরের মধ্যে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে খুশির দেহ উদ্ধার করে। মেয়ের এই হঠকারী সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন খুশির বাবা-মা। সম্প্রতি অষ্টম শ্রেমিতে ওঠে ছোট্ট খুশি। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গেই থাকত সে। মনোবিদদের মতে, এখন বেশিরভাগ পড়ুয়াদের মধ্যেই জীবনবোধ ও ধৈর্য্যের বড় অভাব। কোনও কিছু চাইবার সঙ্গে সঙ্গে তা না পেলেই তারা মানসিক পীড়ায় ভোগে। তার থেকেই এই ধরণের কাজ করে বসে।
[আরও পড়ুন:শখের গাড়ি বিক্রি করে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন সিলিন্ডার দান, মানবিক উদ্যোগ মুম্বইয়ের যুবকের]
The post অনলাইন ক্লাস করতে না পারায় অভিমানে আত্মঘাতী গুজরাটের কিশোরী appeared first on Sangbad Pratidin.