সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর শপথের দিনই গুজরাট মন্ত্রিসভার প্রথম দফার সম্প্রসারণ করে ফেলল বিজেপি (BJP)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গুজরাট মন্ত্রিসভায় দলিত, আদিবাসী এবং পাটিদারদের প্রধান্য দিল বিজেপি। তবে পাটিদার আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক প্যাটেল মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি। যা নিয়ে তিনি নাকি অসন্তুষ্ট। হার্দিক (Hardik Patel) একা নন, কংগ্রেসত্যাগী আরেক বিজেপি বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোরকেও রাখা হয়নি মন্ত্রিসভায়।
বিজেপি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আনতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে দলিত, পাটিদার এবং ওবিসিরা (OBC)। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নির্দেশে মন্ত্রিসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি রয়েছে এদেরই। এ বারের গুজরাত মন্ত্রিসভায় সব থেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব রয়েছে ওবিসি সমাজের। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গেই মন্ত্রী পদে শপথ নেন ১৬ জন। এদের মধ্যে ৭ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের। প্রতিনিধিত্বের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে প্যাটেলরা।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা শুভেন্দুর]
মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল-সহ পাটিদার সম্প্রদায়ের মোট ৪জন মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। গুজরাটে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী এই সম্প্রদায়। তবে পাটিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেলকে মন্ত্রী করা হয়নি। আসলে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া হার্দিককে বিজেপির (BJP) অন্দরেই অনেকে পছন্দ করেন না। সম্ভবত, সেকারণেই প্রথম দফায় তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও মন্ত্রিত্ব না পাওয়া নিয়ে নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরেক বড় মুখ অল্পেশ ঠাকোরও মন্ত্রিত্ব পাননি।
[আরও পড়ুন: খুন থেকে ধর্ষণ! গুজরাটে জয়ী বিধায়কদের ৪০ জনই ‘দাগি’, সংখ্যায় এগিয়ে বিজেপি]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে গুজরাট মন্ত্রিসভায় এবার উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিত্ব কম। এক জন করে মন্ত্রী করা হয়েছে ব্রাহ্মণ ও রাজপুত সমাজ থেকে। এ ছাড়া দু’জন জনজাতি এবং ১ জন তফসিলি জাতিভুক্তকে মন্ত্রী করা হয়েছে। অমিত শাহ (Amit Shah) ঘনিষ্ঠ জৈন নেতা হর্ষ সাংভির পদন্নোতি হয়েছে। গত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী থাকলেও এবার তিনি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রিসভায় কোনও সংখ্যালঘু মুখ নেই। মহিলা মাত্র একজন। বিজেপি সূত্রের খবর, এই সব সমীকরণই আগামী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে সাজিয়েছেন মোদি-শাহরা। কারণ এই প্রথমবার গুজরাটে দলিত, আদিবাসী সম্প্রদায়কে পাশে পেয়েছে বিজেপি। সেটা আগামী লোকসভাতেও ধরে রাখতে চান মোদি-শাহরা।