সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। বিগত দিনে একের পর এক রোহিঙ্গা নেতা খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে হাসিনা সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বহু অভিযানও হয়েছে। এবার ফের এমনই এক অভিযানে খতম হয়েছে দুই রোহিঙ্গা জঙ্গি।
শরণার্থী শিবিরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চলছে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মধ্যে। মূলত, তোলাবাজি, দেহ ব্যবসা, বিদেশে মানব পাচারের রাশ হাতে রাখা নিয়েই সংঘাত। এই প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে গুলিযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২ জঙ্গি। মায়ানমারের জঙ্গিগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও মায়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও ) মধ্যে হয় এই গুলির লড়াই। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া এনকাউন্টার শেষ হয় বুধবার ভোরে।
কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মহম্মদ ইকবাল জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ এলাকায় আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়। আরএসও’র ছোড়া গুলিতে আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। চাকমাইয়া ইউসুফ ক্যাম্প-৯ এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাতের ঘটনার জেরে আরসার সদস্যরা আজ বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসও’র ওপর হামলা চালায়। এসময় আরাফাত নামে আরএসও’র এক সদস্যকে হত্যা করে আরসার সন্ত্রাসীরা।
[আরও পড়ুন: কমেছে রেশন, বেড়েছে অপরাধ, রোহিঙ্গাদের ‘বোঝা’ টেনে চলেছেন মানবিক হাসিনা]
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের (Rohingya) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খু্বই উদ্বিগ্ন। ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর জঙ্গিদমন অভিযানের জেরে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে প্রবেশ করে আরও চার লক্ষ। জন্ম নিয়েছে আরও দুই লক্ষ রোহিঙ্গা শিশু। মোট ১৩ লক্ষ শরণার্থীর ভারে হিমশিম খাচ্ছে দেশ। শরণার্থীদের মধ্যে মিশে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরাও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের সন্ত্রাসবাাদী কার্যকলাপে স্থানীয় বাসিন্দারা ভীত-সন্ত্রস্ত।