সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুগ্রামে (Gurugram) মুসলিমদের নমাজ পড়ার ব্যবস্থা হল গুরুদ্বারে (Gurdwara)। কিছুদিন ধরেই খোলা জায়াগায় নমাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। এরপরেই গুরুগ্রামের সদর বাজার গুরদ্বার অ্যাসোসিয়েশন তাদের গুরুদ্বারের দরজা খুলে দিল মুসলিমদের নমাজ পড়ার জন্য। ফলে এবার থেকে প্রতি শুক্রবারে সেখানেই নমাজ পড়তে পারবেন স্থানীয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।
‘গুরদ্বার গুরু সিং সভা’র সভাপতি শেরদিল সিং সিধু বলেন, “এটা হল গুরু ঘর। এখানে ভেদাভেদ নেই। সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য এখানকার দরজা খোলা। কোনও রাজনীতি নেই এখানে। এবার থেকে গুরুদ্বারের বেসমেন্ট খুলে দেওয়া হল স্থানীয় বাসিন্দা মুসলিম ভাইদের জুম্মা কী নমাজের জন্যে।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের পর কংগ্রেস, CBI-ED প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতায় মামলা সুপ্রিম কোর্টে]
শেরদিল সিং সিধু আরও বলেন, “আমরা সাধারণ বিষয় নিয়ে অশান্তি তৈরি করি না। যাঁরা খোলা জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে আপত্তি করছেন, আমার মনে হয় তাঁদের এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো উচিত। কোনও সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো উচিত কাজ নয় কখনই।”
হরিয়ানার গুরুগ্রামের সেক্টর ১২ এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুসলিমদের খোলা জায়গায় নমাজ পড়ার বিরোধিতা করছেন বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। এরপর গত ৩ নভেম্বরে মুসলিমদের নমাজ পড়ার জন্য মনোনীত ৩৭টি জায়গার মধ্যে ৮টির মনোনয়ন বাতিল করে গুরুগ্রাম প্রশাসন (Gurugram Administration)। জেলা প্রশাসন বিবৃতি দেয়, স্থানীয় জনগণের আপত্তির কারণে প্রার্থনার অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: দেশকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে বিদ্ধ বীর দাসের শোয়ে নিষেধাজ্ঞা মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]
এদিকে মুসলিম সম্প্রদায় স্থানীয় প্রশাসনকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, বারবার হিন্দু সংগঠনের তরফে নমাজ পড়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। তারা আরও জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) অধীনে থাকা ১৯টি জায়গায় নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হোক। এমন টালবাহানার মধ্যে সম্প্রীতির নজির তৈরি করল গুরুগ্রামের শিখরা। তাঁরা ‘মুসলিম ভাই’দের জুম্মা কী নমাজের জন্য গুরুদ্বারের দরজা খুলে দিল।