সুব্রত বিশ্বাস: হিন্দুধর্মের বাৎসরিক উৎসব অম্বুবাচী৷ লোক বিশ্বাস, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন৷ সেই সময়ে পালন হয় অম্বুবাচী৷ সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়৷
[ আরও পড়ুন: কেন পালন করবেন জামাইষষ্ঠী? আচার-অনুষ্ঠানের আগে দেখে নিন ধর্মীয় ইতিহাস]
তিনদিন ধরে অম্বুবাচী পালন করা হয়৷ এই সময়ে বিভিন্ন কাজে বিধিনিষেধ থাকে৷ সাধারণত কোনও ধরনের মাঙ্গলিক কাজ হয় না৷ বিবাহ, গৃহপ্রবেশ, হাল ধরার মতো শুভ কাজ যেমন নিষিদ্ধ, তেমনই মঠ-মন্দিরও থাকে বন্ধ৷ প্রাচীন রীতি মেনে বিধবারা তিনদিন গরম খাবার খান না৷ আগে রান্না করে রাখা খাবার গ্রহণ করেন এই তিনদিন৷ কারণ, তাঁরা ব্রত পালন করেন৷ পিঠে-পায়েস রান্না হয়৷ তিন দিনই কামরূপ কামাক্ষ্যায় পুজো হয়৷ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে এই সময় লাল রংয়ের তরল নিঃসৃত হতে থাকে৷ সকলেই বিশ্বাস করেন, দেবী এই সময় ঋতুমতী হন৷ ওড়িশায় এই উৎসব ‘রজ উৎসব’ নামে খ্যাত৷
[ আরও পড়ুন: খনা বলে আদৌ কি কেউ ছিলেন? জানুন আসল তথ্য]
অম্বুবাচীর দিন থেকে তিনদিন কামরূপ কামাক্ষ্যা দেবীর দ্বার বন্ধ থাকে৷ তবে শক্তি পুজোর স্থানগুলিতে মেলার আয়োজন করা হয়৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ এই সময় ভিড় জমান৷ চতুর্থ দিনে দেবীর স্নান ও পুজো সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেবী দর্শন দেন৷ এই সময় মন্দির ঘিরে কীর্তনের পাশাপাশি ধূপ, দীপ জ্বালানোই রীতি৷ অম্বুবাচীর নিবৃত্তির দিন পাণ্ডারা ভক্তদের রক্তবস্ত্র উপহার দেন৷ এই বস্ত্র সঙ্গে রাখলে মনোস্কামনা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস ভক্তদের৷ পুরোহিতেরা এই বস্ত্র ডান হাতে বা গলায় পরে শুভ কাজে সাফল্য পেতে পারেন৷ মহিলারা পরেন গলায়৷
The post সংসারে সুখ সমৃদ্ধি চাইলে অম্বুবাচীতে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না appeared first on Sangbad Pratidin.