সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...'। প্রত্যেক মায়ের মনে সবসময় একথাই ঘুরতে থাকে। সন্তানের মঙ্গলে মায়েরা কত কিছুই না করেন। চৈত্র মাসে নিয়ম মেনে নীলষষ্ঠীও করেন তাঁরা। শিবমন্দিরগুলিতে ভিড় জমান অগণিত মহিলা। আপনার নীলষষ্ঠীর ব্রতপালনের পরিকল্পনা থাকলে জেনে নিন নির্ঘণ্ট। ব্রতপালনের পদ্ধতিও জেনে নিন।

কথিত আছে, দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পর নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন। নিজের মেয়ের মতো করে তাকে লালন পালন করেন। শিবের সঙ্গে পুনরায় তাঁকে বিয়ে দেন। বাসর ঘরে তাঁর মৃত্যু হয়। তা দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে যান রাজা ও রানি। ওইদিনটিতে নীলপুজো হয়। আরেকটি লোকমতে, এক ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী ছিলেন। তাঁদের সন্তান অকালেই প্রাণ হারাত। মনের দুঃখে কাশীর গঙ্গাঘাটে কান্নাকাটি করছিলেন তাঁরা। সেই সময় মা ষষ্ঠী ব্রাহ্মণী রূপে দেখা দেন। তাঁর কথামতো চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে নীলষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন। তারপর থেকে তাঁদের সন্তানদের আর কোনও অঘটন ঘটেনি। সেই অনুযায়ী নীলষষ্ঠীর প্রচলন বলে মনে করেন কেউ কেউ।
সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তিতে নীলপুজো করেন মহিলারা। চলতি বছর ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ ৩০ চৈত্র এবার নীলষষ্ঠীর ব্রত পালন। সাধারণত যাঁরা এই ব্রত পালন করে তাঁরা দিনভর উপোস করেন। সন্ধ্যায় শিবের মাথায় জল ঢালেন। উপাচার হিসাবে অবশ্যই বেলপাতা, ফুল, ফল এবং মোমবাতি থাকা বাঞ্ছনীয়। পুজোর পর ভেজানো সাবু খান অনেকে। সঙ্গে ফল, দই-ও থাকে। আবার কেউ কেউ লুচি, পরোটাও খান।