সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে এএসআই সমীক্ষা (ASI survey) শুরু করেছিল জ্ঞানবাপীতে। এবার বারাণসীর এক আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিল, সমীক্ষা চালানোর সময় হিন্দুত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে সমস্ত ঐতিহাসিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বস্তুর সন্ধান মিলেছে তা জমা দিতে হবে জেলাশাসকের হাতে।
এরই পাশাপাশি জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, সেগুলি তাঁর কিংবা তাঁর নিযুক্ত কোনও ব্যক্তির কাছে নিরাপদে জমা রাখতে হবে। উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালালে মসজিদ ভেঙে পড়তে পারে এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে সেই দাবি খারিজ হয়ে যায় এলাহাবাদ হাই কোর্টে।
[আরও পড়ুন: বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ! CEC বিল নিয়ে বিরোধিতার ঝড় তোলার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই বারাণসীর (Varanasi) জেলা আদালত জানিয়ে দেয়, মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ বাদে বাকি অঞ্চলের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই নির্দেশ মেনে রায়দানের মাত্র দু’দিন পরেই শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। কার্বন ডেটিংয়ের কাজ করতে এত তাড়াহুড়ো করার কী প্রয়োজন, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি।
২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi) ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়।