সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid) কমিটির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি আগামী ৩০ মে পর্যন্ত স্থগিত রাখল বারাণসী জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানির দিন। এদিন মসজিদ কমিটি দাবি করে, জ্ঞানবাপীর ভিতরে ‘শিবলিঙ্গ’ থাকার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার, ৩০ মে।
মসজিদ কমিটির তরফে আর্জি জানানো হয়েছে, হিন্দুত্ববাদীরা মসজিদের ভিতরে পূজার্চনার যে আবেদন করেছেন তা বাতিল করে দেওয়া হোক। এদিনের শুনানি শুরু হয় দুপুর দুটোয়। তা চলে প্রায় ২ ঘণ্টা। কেবলমাত্র পিটিশন দাখিলকারী, আইনজীবী, বিরোধীপক্ষের আইনজীবীরা ছাড়া আর কাউকে আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপরই আদালত জানিয়ে দেয় ৩০ মে পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখা হল।
[আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের নজির, ফের বাংলার ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কার ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’]
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। এরপরই সামনে আসে ‘শিবলিঙ্গ’টি। জ্ঞানবাপী মামলাটি নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানা। তবে নমাজপাঠ করতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মোহন্ত কুলপতি ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গে’র সামনে পূজার্চনা করার আরজি জানিয়ে তিনি আবেদন করবেন। তিনি চাইছেন ‘শিবলিঙ্গে’র আশপাশের অঞ্চল মুক্ত করে দেওয়া হোক, যাতে সেখানে হিন্দুরা এসে প্রার্থনা করতে পারেন। এরই পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, ওই ‘শিবলিঙ্গ’ ৫১ ফুট দীর্ঘ। মহাদেবের মূর্তির নিচে প্রাচীন গয়নাও মিলবে মাটি খুঁড়লে। এবং সেজন্য উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দেওয়াল ভাঙার দাবিও তুলেছেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।