অর্ণব আইচ: পার্ক স্ট্রিটে জিমের চেঞ্জিং রুমে লুকোনো মোবাইলে তরুণীর পোশাক বদলের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় শ্লীলতাহানির শিকার তরুণী। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ‘ট্রেনার’ বিশ্বজিৎ দাস। জিমের মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। কীভাবে জিমের চেঞ্জিং রুমে মোবাইল রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে ওই যুবতী পার্ক স্ট্রিটের জিমটিতে যোগ দেন। নিয়মিত অনুশীলন করতে যেতেন তিনি। ‘ট্রেনার’ বিশ্বজিৎ দাস তাঁকে ব্যয়াম শেখাতেন। যাঁরা পার্ক স্ট্রিটের ওই জিমটিতে ব্যয়াম করতে যান, তাঁরা সকলেই একটি চেঞ্জিং রুমে পোশাক পালটানোর পর অনুশীলন শুরু করেন। ওই তরুণীও তাই করতেন। কিছুদিন আগে তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর কিছু ছবি ও ভিডিও অশালীনভাবে তোলা হয়েছে। সেগুলি সোশাল মিডিয়ায় আপলোডও হয়েছে। ওই জিমে অন্য যাঁরা আসেন, তাঁদের হাতেও চলে আসে ওই ছবি ও ভিডিও। তাঁর অভিযোগ, চেঞ্জিং রুমে ক্যামেরা লুকিয়ে তোলা হয় ওই ছবি, ভিডিও। এখানেই শেষ নয়। অনুশীলন করার সময়ও তাঁকে কিছু না জানিয়ে ও লুকিয়েও ছবি, ভিডিও তোলা হয় বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে তিনি জিমে গিয়ে সরাসরি ট্রেনারকে প্রশ্ন করেন। সেখানেই সমস্যার সূত্রপাত।
[আরও পড়ুন: প্রেম মানেনি পরিবার! কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ মিলল আমগাছে]
তরুণীর সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ট্রেনার। নজরে পড়তেই জিমের মালিকও সেখানে উপস্থিত হন। কীভাবে মোবাইলে লুকিয়ে তাঁর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তুলে তা পোস্ট করা হয়, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলতে থাকেন তরুণী। প্রথমে বচসা ও ক্রমে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। যুবতীর অভিযোগ, ওই সময়ই তাঁর শ্লীলতাহানি করেন ট্রেনার ও জিমের মালিক। দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ট্রেনারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিমের মালিকের সন্ধান চলছে। চেঞ্জিং রুমে কীভাবে লুকিয়ে মোবাইল রাখা হয়, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগেও এই ধরনের কিছু অভিযোগ শহরে উঠেছিল। এর পর লালবাজারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি শপিং মলকে সতর্ক করা হয়। কীভাবে আয়নার পিছনে লুকানো ক্যামেরা বসিয়ে পোশাক পাল্টানোর ছবি তোলা সম্ভব, তা-ও জানানো হয়। এবার জিমের ভিতর লুকিয়ে ভিডিও তোলার অভিযোগ উঠল।