সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবী জুড়ে যেমন বাড়ছে একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কোভিড ভ্যাকসিন (COVID vaccine) তৈরির দ্রুততা, তেমনি তৎপরতা বাড়ছে হ্যাকারদের (Hacker)। আগেও খবর পাওয়া গিয়েছিল, বিশ্বজোড়া হ্যাকারদের কড়া টার্গেটে রয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং গবেষকরা। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন হল সম্প্রতি।
জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার (North Korea) জনা কয়েক হ্যাকার সম্প্রতি ন’টি সংস্থার পরিষেবা বিকল করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির চেষ্টা চালিয়েছিল। এই তালিকায় ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ছ’টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, সংস্থাগুলির নাম। আমেরিকার জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে নোভাভ্যাক্স আইএনসি, ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার (যারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং ট্রায়ালে তা ৯০ শতাংশ কার্যকরীও সাব্যস্ত হয়েছে) মতো বিখ্যাত সব নাম হ্যাকারদের হিটলিস্টে ছিল।
[আরও পড়ুন: জেলে সিবিআই-এনআইএ-ইডির জেরা করার ঘরে বসবে সিসিটিভি, বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]
এছাড়াও ছিল বোস্টনের ইজরায়েল ডিকোনেস মেডিক্যাল সেন্টার এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ টিউবিনজেন। এমনকী বাদ যায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু সংস্থাও, যারা কোভিড-১৯ প্রতিরোধকারী ওষুধ প্রস্তুত এবং তার ট্রায়ালের কাজে ব্যস্ত। যেমন জেনেক্সিন আইএনসি, বোরইয়াং ফার্মা কো লিমিটেড, শিন পুং ফার্ম কো লিমিটেডে এবং সেলট্রিওন আইএনসি। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির চেষ্টা চালালেও হ্যাকারদের সেই চেষ্টা আদপে সফল হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই কাজ উত্তর কোরিয়ার কুখ্যাত হ্যাকার দল ‘কিমুস্কাই’-এর। কারণ, এর আগেও এরা আমেরিকা, জাপানের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জরুরি তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছিল। এর আগে ইরান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন ও রাশিয়ার বহু হ্যাকারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল করোনা ভাইরাস ও তার সম্ভাব্য চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য চুরি করার চেষ্টার।