চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: কুণাল ঘোষের আরোগ্য় কামনায় যজ্ঞ হলদিয়ায়। খেলতে গিয়ে পা ভেঙেছেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। অস্ত্রোপচার হয়েছে পায়ে। দ্রুত তাঁর সুস্থতা চেয়ে হলদিয়ার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে যজ্ঞ করা হয়। উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁদের প্রার্থনা, “দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক কুণালদা।”
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর প্রথম বিদ্যুতের আলোয় ঝলমলে হয়েছিল হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক এবং সাউতানচক গ্রাম দুটি। কুণাল ঘোষের উদ্যোগে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় বিদ্যুত আসে এই দুই গ্রামে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের সেই অবদানের কথা ভুলতে পারছেন না হলদিয়ার ওই দুই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আতিয়ার, মুশারফ খান, জাহাঙ্গির খান, প্রবীর সিং, মেহবুব খান, সামাদ খান, বিশ্বজিৎ প্রামানিকেরা। তাই কুণাল ঘোষের দ্রুত সুস্থতার প্রার্থনা করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে ধাক্কা তৃণমূলের, উপনির্বাচনে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস]
এ প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা শেখ আতিয়ার বলেন, “কুণালদা কাজের মানুষ। যেভাবে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ এনেছেন তা ভোলার নয়। তিনি অসুস্থ। পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। যাতে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারেন তাই এদিন পুজো করা হল।” কলকাতায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে শেখ আতিয়ারদের।
গত শনিবার প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘রিপোটার্স কাপ’-এর খেলা ছিল। সেখানে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর সঙ্গে ফাইনাল খেলা চলছিল ‘জাগো বাংলা’-র। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর পক্ষে খেলছিলেন পত্রিকার কনসালটিং এডিটর কুণাল ঘোষ। খেলার সময় হঠাৎই পায়ে চোট পান। খেলার পর এক্স-রে করে দেখা যায় তাঁর বাঁ পায়ের ফিবুলা ভেঙে গিয়েছে। তাঁর পায়ে প্লাস্টার করা হয়। সেই অবস্থাতেই দলীয় কাজ করেছেন কুণাল। তবে পূর্বসূচি অনুযায়ী বুধবার বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। পায়ে বসানো হল প্লেট।