সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বিদ্যুৎহীন দুই গ্রামে বিদ্যুতের নয়া সংযোগ দিতে বুধবার থেকে ফর্ম বিলি শুরু করল রাজ্য সরকার। মহকুমা প্রশাসন ও বিদ্যুৎদপ্তরের আধিকারিকরা বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথির বিনিময়ে হলদিয়া টাউনশিপ ফাঁড়ি ফর্ম বিলি শুরু হয়। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে আধিকারিকরা গিয়ে গ্রাম পরিদর্শনের পর রিপোর্ট জমা পড়তেই এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
গত রবিবার হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সৌতনপুর গ্রাম দু’টি পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দেখেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ফোনে গোটা বিষয়টি জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। আর তার পরই দলীয় মুখপাত্রের রিপোর্ট পেয়েই ওই দিনই প্রথমে স্থানীয় বিদ্যুৎকর্তাদের এবং পরদিন জেলা বিদ্যুৎ আধিকারিকদের গ্রাম দু’টিতে পাঠান বিদ্যুৎমন্ত্রী। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বুধবার থেকে নয়া সংযোগ দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের ফর্ম বিলি করে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে মেরে ফেলো, স্ত্রী-ছেলেকে জড়িও না’, আদালত থেকে বেরনোর সময় দাবি মানিকের]
ফর্ম বিলির ছবি দিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ লেখেন, “মাননীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সক্রিয় নজরদারি রাখায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দলমত নির্বিশেষে মানুষকে সাহায্য করছেন।”
বাংলা তথা দেশের নামী শিল্পশহরের তকমা পেয়ে বসে আছে দীর্ঘদিন ধরেই হলদিয়া। হাজার-হাজার কোটি টাকার লগ্নি হচ্ছে। অথচ শিল্পাঞ্চলের দুই গ্রামে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উদ্যোগ এবং রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তৎপরতায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের দু’টি বিদ্যুৎহীন গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুতে বেজায় খুশি বাসিন্দারা। বহু বছর ধরে তাঁরা প্রথমে বামপন্থী জনপ্রতিনিধিদের এবং পরে ‘অধিকারী পরিবার’-এর সাংসদ-মন্ত্রীকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে মেরে ফেলো, স্ত্রী-ছেলেকে জড়িও না’, আদালত থেকে বেরনোর সময় দাবি মানিকের]
গত রবিবার সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে চা খেতে গ্রামে আসা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সামনে পেয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানান। শুভেন্দু অধিকারী ও শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ জানান। বিষয়টি বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে জানানোর পরই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। রবিবারই বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিনিধিরা গ্রাম দেখে আসেন। মঙ্গলবার সকালেও সেখানে গিয়েছিল বিভাগীয় পদস্থ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিদ্যুৎ দপ্তরের একটি টিম। বন্দরের জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের ফর্ম বিলি শুরু করল দপ্তর।