চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: করোনাকে হাতিয়ার করে উপার্জনের ছক বানচাল। অবশেষে আইনের ফাঁদে হলদিয়ার মাদুলিবাবা। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাকে ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা (Coronavirus) রুখতে প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সচেতন করা হচ্ছে আমজনতাকে। তা সত্ত্বেও করোনা নিয়ে ভীতি রয়েছেই। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করেছিলেন হলদিয়ার সুতাহাটার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সৈয়দ আবদুল কাদের। কোভিড তাড়াতে অব্যর্থ মাদুলি তৈরি করে বিক্রি করছিলেন তিনি। যদি সুফল মেলে, সেই আশায় প্রচুর মানুষ কিনছেন সেই মাদুলি। আবদুলের এই মাদুলি বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের সচেতন করতে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। বিষয়টি জানতে পেরেই আত্মগোপন করেন ‘মাদুলিবাবা’ আবদুল সৈয়দ।
[আরও পড়ুন: পথকুকুরকে খাওয়াতে গিয়ে ‘শ্লীলতাহানি’র শিকার, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অধ্যাপিকা]
এ বিষয়ে সুতাহাটা ব্লক প্রশাসন ও সুতাহাটা থানার পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকিং শুরু করা হয়। বারবার পরামর্শ দেওয়া হয়, মাদুলি ধারণ না করে সরকারি করোনা বিধি মেনে চলার। টিকার উপর আস্থা রাখার কথাও বলা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সোচ্চার হন জেলার চিকিৎসক মহল এবং বিজ্ঞান মঞ্চ। এসবের মাঝে খোঁজ চলছিল মাদুলিবাবার। জানা গিয়েছে, সোমবার নিজেই হলদিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই বৃদ্ধ।
উল্লেখ্য, কোভিড ১৯ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। অতিমারীর হাত থেকে রক্ষার পথ মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং টিকা নেওয়া। কিন্তু কিছু মানুষ মাদুলি দিয়ে, করোনা দেবীর পুজো করে আয়ের পথ প্রশস্ত করছেন। এটা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়। তাই অবিলম্বে এই ধরনের বুজরুকি বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছিলেন ওয়াকিবহল মহল।