বিক্রম রায়, কোচবিহার: সাতসকালে শীতলকুচি (Sitalkuchi) থানা থেকে উদ্ধার হল পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নৃপেন বর্মন। বয়স ৫০ বছর। কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির সাঙ্গারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তিনি। অন্যান্যদিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর শীতলকুচি থানা থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। খবর পেয়ে থানায় যান মাথাভাঙা মহকুমার একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পি শেরপা। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। যদিও মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: করোনাকালে Kanyashree প্রকল্পের টাকায় মাস্ক বিলি, বাঁকুড়ার ছাত্রীকে কুর্নিশ জানাবে রাজ্য]
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া মৃতের পরিবারে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সকলে। নৃপেনবাবুর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল বলে তিনি জানতেন না। তাহলে কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? আদৌ আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী? নাকি নেপথ্যে অন্য রহস্য, তা জানতে মৃতের পরিবারের সদস্যরা পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।