ধীমান রায়, কাটোয়া: বিয়ের আগেই হবু শ্বশুরবাড়িতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার দেহ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) থানার ঝাড়ুল গ্রামে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম তাজমিরা খাতুন। তাঁর বয়স ২০। ভাতারের ঝারুল গ্রামের বাসিন্দা আলকাস মণ্ডলের মেয়ে তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পিসতুতো দাদার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাজমিরার। পাত্র কর্মসূত্রে থাকেন সুরাটে। তিনি ফিরলেই সম্পন্ন হত শুভকাজ। ইতিমধ্যেই দেনাপাওনা লেনদেনও হয়ে গিয়েছে। এদিকে আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে ফলে শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত ছিল তাজমিরার। প্রায়ই তরুণী শ্বশুরবাড়িতে যেতেন।
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে মাটিতে আছড়ে ‘খুন’, পারিবারিক বিবাদে রাজারহাটে প্রাণ গেল খুদের]
শুক্রবার হবু শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ পিসির বাড়িতে ছিলেন তাজমিরা। রাতে ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু কেন এই পরিণতি তাজমিরার? কেন আত্মঘাতী হলেন তিনি? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু তা এখনও ধোঁয়াশা। তবে আলকাস মণ্ডলের সন্দেহ, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।