সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: নদিয়ার ফুলিয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু! ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে। তবে কারণ ঘিরে ধোঁয়শা রয়েছে। বাড়ির লোক জানিয়েছে কোনও সমস্যার কথা সে বাড়িতে বলেনি। রানাঘাট পুলিশ মর্গে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়া শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার সবুজপল্লী এলাকার বাসিন্দা। বাবা অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্না করেন। দিদি পড়াশোনার পাশাপাশি, স্থানীয় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। ফলে বেশিরভাগ দিনই বাড়ি ফাঁকা থাকে। সোমবার বিকেলে নাবালিকার দিদির কাছে খবর যায় তাঁর বোনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর যায় পুলিশে। মঙ্গলবার দেহ ময়নাতদন্তের পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন শেষ! উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ‘ডিস-কলেজিয়েট’ ৯ চিকিৎসক-পড়ুয়া]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মৃত ছাত্রী স্কুলে গিয়েছিল। বাড়ির সকলে তাঁদের কাজে চলে যান। সে কখন ফিরেছে? স্কুলে বা রাস্তায় কোনও সমস্যা হয়েছে কি না তা কিছুই জানে না পরিবার। প্রতিবেশীর থেকে খবর পেয়ে তারা বাড়িতে এসে দেখেন এই অবস্থা।
ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কোনও প্রেম ঘটিত কারণে নিজেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাবালিকা? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে। তবে বাড়ির লোক জানিয়েছেন, সে প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে যেত। কোনও সমস্যার কথা পরিবারে কোনও দিনই জানায়নি। পরিবারেও কোনও অশান্তি ছিল না। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে, স্কুল ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।