অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ফুলশয্যার পরদিন ভোরেই আত্মঘাতী (Suicide) বর। মর্মান্তিক ঘটনা হাওড়ার (Howrah) শালিমার এলাকায়। সদ্য বিবাহিত যুবকের এহেন মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কী কারণে ফুলশয্যার পরদিনই নিজেকে শেষ করে দিলেন যুবক, সেই প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে সকলের মনেই। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বি গার্ডেন থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার শালিমার এলাকার যুবক আদর্শ সাউ পেশায় গাড়িচালক। তাঁর সঙ্গে গত ৭ তারিখ বিয়ে হয়েছিল বারাকপুরের (Barackpore) বর্ষা কুমারী নামে এক তরুণীর। পরিবারের তরফে দেখাশোনা করে দু’জনের বিয়ে ঠিক করেছিলেন দুই বাড়ির সদস্যরা। আদর্শেরও সম্মতি ছিল এই বিয়েতে। ধুমধাম করেই বর্ষার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই কলকাতা বিমানবন্দরে বিপত্তি, ব্রিটেন থেকে ফেরা তরুণী করোনা আক্রান্ত]
বৃহস্পতিবার ছিল আদর্শ-বর্ষার ফুলশয্যা। শুক্রবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে শৌচালয়ে যান বর্ষা। সেখান থেকে ফিরেই দেখেন, ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। বর্ষা দেখেন, নিজেদের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন (Hanging deadbody) আদর্শ। এমন দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবে চমকে যান নববধূ। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সেইসঙ্গে গোটা পরিবারই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আদর্শকে। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
[আরও পড়ুন: জন্মের পরই মাতৃহারা যমজ, সোশ্যাল মিডিয়ার আবেদনে ব্যাপক সাড়া, স্তন্যদানে রাজি ৫০ জন মা!]
কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটল যে ফুলশয্যার পরেরদিন ভোরে এভাবে বরের দেহ উদ্ধার হল? এই প্রশ্নই উঠছে। নববধূ বর্ষা কুমারী জানান, বিয়ের আগেও আদর্শের সঙ্গে ফোনে কথা হত। কোনওদিন কিছু বোঝা যায়নি। শুক্রবার ভোরে তাঁকে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বলেছিলেন আদর্শ। আর তিনি শৌচালয়ে যেতেই এই ঘটনা। পরিবারের লোকজনও বুঝে উঠতে পারছেন না এর কারণ। দু’জনের মধ্যে কারও কি অন্য কোথাও প্রেমঘটিত (Affairs) সম্পর্ক ছিল? সেই প্রশ্নও এড়ানো যাচ্ছে না।