সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ থেকে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে স্বামীর দীর্ঘজীবনের কামনায় স্ত্রীদের ‘করবা চৌথ’ করতে দেখেছেন দর্শকরা। সেই সুবাদে এই ব্রতর রীতি-নীতি প্রায় সকলেরই জানা। এবার হরভজন সিংয়ের জন্য হিন্দু মহিলাদের পালন করা এই ব্রত রেখেছিলেন বেটার হাফ গীতা বসরাও। আর তাতেই কট্টরপন্থী শিখদের রোষের শিকার হতে হল ভাজ্জিকে। তবে পালটা দিতে ছাড়েননি ভারতীয় ক্রিকেটারও।
[ম্যাচের মধ্যেই পাক ক্রিকেটারের এ কী কাণ্ড! তাজ্জব নেটদুনিয়া]
ধর্মের নামে সোশাল মিডিয়ায় সেলিব্রিটিদের একহাত নেওয়া এখন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই বিপদ। কখনও মহম্মদ শামির স্ত্রীর হিজাব না পরা নিয়ে তো কখনও সানিয়া মির্জাকে খাটো পোষাকের জন্য মৌলবাদিদের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয়েছে। এবার হরভজনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শিখ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা। ঘটনার সূত্রপাত ভারতীয় স্পিনারের টুইটারে পোস্ট করা একটি ছবি নিয়ে। যেখানে গীতাকে করবা চৌথের ব্রত পালন করতে দেখা যাচ্ছে। নিচে লেখা, “অনেকক্ষণ উপবাসে ছিলে। এবার খাওয়া-দাওয়া করো, মজা করো।”
আর এরপর থেকেই পোস্টটি নিয়ে শুরু হয় ট্রোল। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, হিন্দু ধর্মের আচার-নিয়ম কেন এক শিখ পরিবার পালন করবে? ভাজ্জির বিরুদ্ধে তোপ দেগে এক নেটিজেনের বক্তব্য, “শিখ ধর্ম সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। আমাদের ধর্মে উপবাস, ব্রতর কোনও স্থান নেই। এসবকে অন্ধবিশ্বাস বলেই মনে করা হয়।” অন্য একজন লিখেছেন, “এক পাঞ্জাবিকে এসব ব্রত পালন করতে দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে। একেই বলে হিপোক্রেসি।”
[বিরাট কোহলির এই কাজটি অবাক করল মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও]
তবে মুখ বুজে অপমান সহ্য করার পাত্র নন হরভজনও। নেটিজেনদের অদ্ভুত সব যুক্তির পালটা দিয়েছেন তিনি। ঝাঁজালো দুসরায় বিতর্ককে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন। টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, “কোন গ্রন্থে লেখা আছে এটা করো না, সেটা করো না? ধর্মের নামে মানুষকে আক্রমণ করা বন্ধ করুন। আগে ভাল মানুষ হয়ে উঠুন। সেটাই সবচেয়ে বড় ধর্ম।” ভাজ্জির কড়া জবাবের পর অবশ্য আর কিছু বলার সাহস পাননি নেটিজেনরা।
The post স্ত্রীর ছবি পোস্ট করে নেটিজেনদের রোষের মুখে হরভজন appeared first on Sangbad Pratidin.