সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষে গুজরাতে (Gujarat) বিধানসভা ভোট। তার বেশ কয়েক মাস বাকি থাকতেই নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে কংগ্রেসকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন দলেরই অস্থায়ী সভাপতি, পাতিদার সম্প্রদায়ের মুখ হার্দিক পটেল (Hardik Patel)। ২০১৫য় গুজরাতে পাতিদার গোষ্ঠীকে ওবিসি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে তাঁর নেতৃত্বে জোর আন্দোলন হয়েছিল। সেই হার্দিক এবার সরব, কেন জনপ্রিয় পাতিদার নেতা নরেশ পটেলকে দলে নিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব ‘দেরি করছে’, এই প্রশ্ন তুলে। পাশাপাশি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তাঁকেও কোণঠাসা করে রেখেছে, কাজে লাগাচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাঁর।
গুজরাত কংগ্রেসের (Congress) কাজকর্মের ধারা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হার্দিক। আজ পর্যন্ত রাজ্য শাখার কোনও বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয়নি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মতামতও শোনা হয়নি তাঁর, দাবি করেন তিনি। বলেন, শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে অপমান করেছে। এমনকী কটাক্ষের সুরে হার্দিক মন্তব্য করেন, সদ্য বিয়ে করা পাত্রকে জোর করে নাসবন্দি করা হয়েছে, আমার অবস্থাটা এখন এমনই। বিজেপির প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
[আরও পড়ুন: ‘একটি ধর্ষণও লজ্জার, জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে’, দাবি সৌগত রায়ের]
ঘটনাচক্রে ২০১৫-র একটি দাঙ্গা ও লুঠপাটের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ঘোষিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তিনি ভোটে লড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত দেওয়ার পরদিনই এভাবে বিস্ফোরণ ঘটালেন হার্দিক। ২০১৫র স্থানীয় পুরসভা নির্বাচন, ২০১৭র বিধানসভা ভোটে পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের জন্যই কংগ্রেস ভাল ফল করেছিল বলে দাবি করেন তিনি। ২০১৭র ভোটে ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭টি আসন। হার্দিক বলেন, নরেশ পটেলকে কংগ্রেসে সামিল করা নিয়ে যে ধরনের কথাবার্তা চলছে, সেটা গোটা পাতিদার সম্প্রদায়ের কাছে অপমানজনক।
Advertisement
দুমাসের বেশি হয়ে গেল। কেন এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না! এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কংগ্রেস শীর্ষ ও রাজ্য নেতৃত্বের। হার্দিকের দাবি, কংগ্রেসে অনেকের ধারণা, ২০১৭র পর তাঁকে ঠিকমতো ব্যবহারই করেনি দল। হতে পারে, দলে কিছু নেতা মনে করেন, এখন আমায় গুরুত্ব দেওয়া হলে ৫-১০বছর পর তাঁদের পথে কাঁটা হয়ে উঠব আমি। এদিকে নরেশ পটেলকে নিয়ে হার্দিকের অনুযোগ সম্পর্কে গুজরাত কংগ্রেস সভাপতি জগদীশ ঠাকোরের বক্তব্য, নরেশ দলে স্বাগত। অতীতেও তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে। বল এখন তাঁর কোর্টেই।