সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেই তাঁর উত্থান। সেই হার্দিক প্যাটেল সব বিদ্রোহ ভুলে যোগ দিলেন বিজেপিতেই (BJP)। বৃহস্পতিবার গান্ধীনগরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাটিল এবং বর্ষীয়ান নেতা নীতীন প্যাটেলের (Nitin Patel) হাত ধরে বিজেপিতে নাম লেখালেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছোট সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চান তিনি।
গত ১৮ মে সরকারিভাবে কংগ্রেস ছাড়েন হার্দিক। তার পর থেকেই লাগাতার তাঁর মুখে বিজেপির প্রশস্তি আর কংগ্রেসের নিন্দা শোনা যাচ্ছিল। অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেস হিন্দু বিরোধী। রাষ্ট্রীয় ঐক্যের কথা না ভেবে দলের স্বার্থে বিভাজনের রাজনীতি করে কংগ্রেস। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে শুরু করে ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো বিজেপি সরকারের ‘সাফল্য’ গুলিকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। বস্তুত, কংগ্রেস (Congress) ত্যাগের পরই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন হার্দিক। শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ছাড়পত্র না মেলায় তাঁকে এতদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। সূত্রের খবর দিন তিনেক আগেই হার্দিককে দলে নেওয়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপরই বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ইডি দপ্তরে হাজিরার আগেই করোনা আক্রান্ত সোনিয়া গান্ধী, রয়েছেন আইসোলেশনে]
এদিন সকালে হার্দিক টুইট করে বলেন, রাজনৈতিক জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে তিনি এক জন ‘ছোট সৈনিক’ হিসাবে আঞ্চলিক এবং সমাজের স্বার্থে কাজ করবেন। এদিন সকালে মন্দিরে পুজোও দেন হার্দিক। গান্ধীনগরে বিজেপির দলীয় দপ্তরের সামনে হার্দিককে স্বাগত জানিয়ে বেশ কিছু পোস্টারও চোখে পড়ে। তারপরই তাঁর যোগদানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। যদিও হার্দিকের যোগদান মঞ্চে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।
[আরও পড়ুন: আলাদা করে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা বিহারে। নীতীশ কুমারের সিদ্ধান্তে বিতর্ক]
চলতি বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আগে হার্দিকের (Hardik Patel) যোগদান বিজেপিকে বড়সড় স্বস্তি দেবে তাতে সংশয় নেই। ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ এই হার্দিকই গড়েছিলেন। তাঁর সভাগুলি থেকেই তৈরি হচ্ছিল জনমত। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আগে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়া শুরু করে। তবে পাটিদার সমাজে এখনও বেশ জনপ্রিয় তিনি।