সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএল খেলতে এসে সোশাল মিডিয়া দেখতেন খুব। তাঁর খেলা নিয়ে কে কোথায় প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, সেদিকে ছিল লক্ষ্য। এবং সেই কাজ করতে গিয়ে ভুগতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুককে। আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। মোবাইল থেকে সমস্ত অ্যাপ ডিলিট করার সিদ্ধান্ত নেন ব্রুক।
এতে মানসিক দিক থেকে শান্তিতে রয়েছেন তিনি। নিজের কৃতকর্মের জন্য এখনও তিনি আক্ষেপ করেন। ব্রুককে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি নির্বোধ ছিলাম। সাক্ষাৎকারে বোকার মতো কিছু কথাবার্তা বলেছিলাম। এর জন্য এখনও আমি অনুতপ্ত।”
[আরও পড়ুন: হাত দিয়ে বল ধরে ‘হাস্যকর’ আউট, লজ্জার ইতিহাসে বাংলাদেশের তারকা মুশফিকুর]
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাঁকে ১৩.২৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল। কিন্তু মেগা ইভেন্টে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না ব্রুক। ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ৫৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। যখন রান পাচ্ছিলেন না, তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আকাশছোঁয়া দাম উঠেছিল তাঁর। প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল ব্রুককে নিয়ে।
সেই কারণে কি আইপিএলে খেলতে নেমে পারফর্ম করতে পারছেন না? সেঞ্চুরি করার পরে ব্রুক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অনেকেই তাঁকে বাতিলের তালিকায় ফেলে দিয়েছিলেন। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের তিনি থামিয়ে দিতে পেরেছিলেন বলে মনে করেন। ব্রুকের এহেন মন্তব্যের জন্য নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল। আইপিএলে ১৯০ রান করেন ব্রুক। গড় ছিল মাত্র ২১।
ব্রুককে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”ভারতে হোটেল রুমে বসে থাকা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও কাজ ছিল না। আমি ইনস্টাগ্রাম, টুইটার দেখতাম। এমনও অনেক কিছু দেখতে হয়েছিল, যেগুলো না দেখলেও হতো। এর থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছিল সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে এখনও রয়েছি আমি। কিন্তু অন্য কেউ চালায় তা।” মোবাইল থেকে অ্যাপ ডিলিট করে দিলেও সোশাল মিডিয়ায় রয়েছেন তিনি। ব্রুকের হয়ে অন্য কেউ তা হ্যান্ডল করেন। ফলে সোশাল মিডিয়ায় ব্রুক নিজে সক্রিয় নন। উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ এবারের নিলামের আগে ব্রুককে ছেড়ে দিয়েছে।