সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের তরুণ ও শ্রমজীবী মানুষদেরই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন (Covid-19 vaccine) দেওয়া হবে। কারণ তাঁরাই দেশের অর্থনীতিকে সঠিক অবদানের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এমন একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) জানিয়ে দিলেন এ সবই গুজব ও ভিত্তিহীন। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অগ্রাধিকার দেওয়া হবে দু’টি ক্ষেত্রে। এক, পেশাগত ঝুঁকির ফলে যাদের সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেশি। দুই, মারাত্মক অসুখের ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা।’’
এর আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকলকে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিলেন, সরকার যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত নাগরিকদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবে। তিনি বলছিলেন, ‘‘আমাদের সরকার দিনরাত এক করে কাজ করছে যাতে ভ্যাকসিন বাজারে এলেই তা সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গতভাবে ভ্যাকসিন বিতরণ করা যায়। দেশের সবার জন্য ভ্যাকসিনই আমাদের অগ্রাধিকার।’’
[আরও পড়ুন: নন-বুলেটপ্রুফ ট্রাকে জওয়ানরা! রাহুলের পোস্ট করা ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করবে CRPF]
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিশেষজ্ঞ দল ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করে কোন কোন নাগরিক শ্রেণিদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া দরকার সেই তালিকা প্রস্তুত করছে। সব রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে তালিকা জমা দেওয়ার জন্য। তালিকায় থাকবে চিকিৎসক, নার্স, আশা কর্মী ইত্যাদিরা। মানুষকে ভুয়ো খবর ও সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে সরকারও। করোনা সংক্রান্ত কোনও ভুয়ো খবর পেলে সরকারকে জানানোর জন্যও তিনি জনসাধারণের কাছে আরজি জানিয়েছেন।
এদিকে ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর অনুমতি চেয়ে গত ২ অক্টোবর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। উত্তরে ডিজিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তার আগে দ্বিতীয় পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা দিতে হবে ভারত বায়োটেককে। প্রসঙ্গত, আইসিএমআরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি করতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ভারত বায়োটেক।