সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে লকডাউনের (Lockdown) পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সারা দেশে লকডাউন জারি করতে গররাজি কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে-রাজ্যে জারি হচ্ছে লকডাউন। এবার সেই পথে হাঁটল হরিয়ানা। কারফিউের মেয়াদ বাড়াল যোগী সরকারও।
করোনা সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। টানাপোড়েনের মাঝে পরিস্থিতি সামাল দিতে নাইট কারফিউ জারি হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল কঠিন নিয়মকানুন। এবার সেই রাত্রিকালীন কারফিউ জারির সময়সীমা আরও দু’দিন বাড়ানো হল। যোগী প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ মে পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের ৭৫ জেলায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৭ পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে। তবে ছাড় মিলবে জরুরি পরিষেবায়।
[আরও পড়ুন : অক্সিজেনের অভাবে কর্ণাটকের হাসপাতালে মৃত ২৪, বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী]
অন্যদিকে, হরিয়ানায় আজ অর্থাৎ ৩ মে থেকে জারি হচ্ছে লকডাউন। আগামী এক সপ্তাহ চলবে এই লকডাউন। তবে ছাড় পাবে জরুরি পরিষেবা। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, পাঁচকুল্লা, সোনেপত, রোহতক, কারনাল, হিসার, সিরসার মতো নয় জেলায় এক সপ্তাহ রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তবু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। তাই এবার সরাসরি লকডাউনের পথে হাঁটল হরিয়ানা সরকার। অন্ধ্রপ্রদেশে ৫ মে থেকে আংশিক কারফিউ জারি হচ্ছে। আগামী ১৪ দিন জারি থাকবে কারফিউ।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত গোটা দেশ। এক দিকে চাহিদার তুলনায় টিকার জোগান কম, অন্যদিকে হাসপাতালে বেড, ওষুধ, অক্সিজেনের জন্য চলছে হাহাকার। এমনকী শ্মশানেও দীর্ঘ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে স্বত্বঃপ্রণোদিত এক মামলায় শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যগুলিকে লকডাউন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে করোনা নিয়ে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকাও দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।