সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঝোরে জল পড়ছে চোখ বেয়ে। যেন প্রেমিকার সঙ্গে সদ্য বিচ্ছেদ যন্ত্রণায় কাতর। বুক চাপড়ে কেঁদে চলেছেন আর বলছেন, 'আমি এখন কী করব'। অবশ্য এ ব্যথা প্রেমের নয়, ক্ষমতা হারানোর যন্ত্রণা। হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কেঁদে ভাসালেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক। যে ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।
আগামী ৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন(Haryana Assembly Election 2024)। সেই উপলক্ষে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। সেই তালিকায় ঠাঁই হয়নি বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শশীরঞ্জন পারমার। অথচ এবার প্রার্থী হতে চেয়ে ভিওয়ানি এবং তোশাম দুটি কেন্দ্রের নাম প্রস্তাব করেছিলেন শশী। আশা করেছিলেন হয়ত কোনও একটি কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে এই দুটি কেন্দ্রেই ভিন্ন নাম ঘোষণা করেছে দল। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না প্রাক্তন বিধায়ক। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, "আমার সঙ্গে এমনটা হতে পারে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আমি অত্যন্ত ব্যথিত, হতাশ। এটা কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিল দল?"
এই অবস্থায় ভেঙে পড়া বিধায়ককে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী। তিনি বলেন, "মনকে শক্ত করুন। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।" পাশাপাশি সাক্ষাৎকারক বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, আপনাকে কেন এবার প্রার্থী করা হল না? উত্তরে কান্না ভেজা গলায় প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, "আমার সমর্থক, পরিচিত সকলকে জানিয়েছিলাম এ বার প্রার্থী হচ্ছি আমি। এখন তাদেরকে কী বলব? এখন কী করব আমি? বড় অসহায় লাগছে।" বলতে বলতে ফের অঝোরে কেঁদে ফেলেন বিধায়ক। বিধায়ককে ভেঙে পড়তে সাক্ষাৎকারক ফের বলেন, "আপনি শান্ত হন।" তবে আবেগি বিধায়ক তখন অঝোরে কাঁদছেন।
[আরও পড়ুন: জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্স, মৃত সন্তানদের কাঁধে নিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন দম্পতি]
তবে প্রাক্তন বিধায়ক শশী টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসালেও বিজেপির প্রার্থী তালিকায় উঠে আসছে একটি চমকপ্রদ নাম। ইনি সুনীল সাংওয়ান। সম্ভবত চরখি দাদরি আসন থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি। সুনীল সাংওয়ান সুনারিয়া সংশোধনাগারের প্রাক্তন সুপার। একটা সময় এই জেলেই বন্দি ছিলেন ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম। এবং সুনীলের আমলেই ৬ বার প্যারোলে মুক্তি পান ধর্ষণ ও খুনে সাজাপ্রাপ্ত রাম রহিম। এহেন সুনীলের বিজেপি যোগ ও টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে হরিয়ানা রাজনীতিতে।