সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পড়ুয়াদের সাতসকালে ঘুম ভাঙাবে মন্দির, মসজিদ, গুরুদুয়ারের ঘোষণা। অ্যালার্ম ক্লক হিসেবে কাজ করবে ধর্ম প্রতিষ্ঠানের লাউডস্পিকার। ভোর সাড়ে চারটেয় পড়ুয়াদের ঘুম থেকে তোলার দায়িত্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিল হরিয়ানা (Haryana) সরকার। ব্যাপারটা কী?
সামনেই দশম-দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। এবার রাজ্যের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফল যাতে ভাল হয় তার জন্য বিশেষ উদ্য়োগ নিয়েছে রাজ্য়ের শিক্ষাদপ্তর (Education Department)। স্কুলের পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবক, গ্রামের প্রধান এমনকী আশপাশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে তারা। স্কুলের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানো হয়েছে, পরীক্ষার আগের ক’টা মাস ছাত্রছাত্রীদের ভোর সাড়ে চারটেয় ঘুম থেকে তুলে দিতে হবে। ৫টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তাদের পড়তে বসতে হবে। শিক্ষাদপ্তরের মতে, সকালে উঠলে পড়াশোনার জন্য কয়েকঘণ্টা অতিরিক্ত সময় পাবে ছাত্রছাত্রীরা। আবার এই সময় চারপাশ অনেকটা শান্ত থাকে ফলে মনোযোগও বাড়বে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনা আক্রান্ত দুজনের মৃদু উপসর্গ ছিল আগেই, জানেন কী কী?]
পরীক্ষার্থীদের বোর্ডের পরীক্ষার ফলের মান উন্নত করতে শিক্ষাদপ্তর, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মিলে যৌথ পরিকল্পনা করতে হবে। পড়ুয়ারা ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসছে কি না হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ক্লাস টিচারদেরও নিয়মিত খোঁজ নিতে হবে। শিক্ষাদপ্তরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অভিভাবকরা সহযোগিতা না করলে তা স্কুলের কমিটির নজরে আনতে হবে।
তবে শুধু স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অভিভাবক নয়, পড়ুয়াদের রেজাল্ট ভাল করানোর দায়িত্ব নিতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও আশপাশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এ নিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর আনশাজ সিং সমস্ত সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল ও জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, “পড়ুয়াদের ঘুম থেকে তুলে পড়তে বসানোর জন্য মন্দির, মসজিদ ও গুরুদ্বার ভোরবেলা লাউডস্পিকারে ঘোষণা করুক। এটা হলে প্রতিটি পড়ুয়া দিনে ২-৩ ঘণ্টা অতিরিক্ত পড়ার সময় পাবে।” শিক্ষাদপ্তরের মতে, একমাত্র সমাজের সকলে মিলে চেষ্টা করলেই পড়ুয়াদের শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হবে।