সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশকে যেন আবার কেউ পিছনে ঠেলে না দেয়। ফের রাজাকারদের দেশে যেন পরিণত না হয়। এনিয়ে যেকোনও ষড়যন্ত্র থেকে সকলকে সতর্ক থাকার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার জার্মানিতে মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিং-এ বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুজিবকন্যা।
এদিন হাসিনা বলেন, “একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বৃথা যেতে দেবেন না। আমি কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং আমি ভাবি যে আমি দেশ এবং জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি।” আওয়ামি লিগকে গণমুখী দল হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতা-সহ সব কিছু পেয়েছে। আওয়ামি লিগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা করোনা মহামারীর মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।”
[আরও পড়ুন: একাধিক প্রেম, বাল্যবিবাহ! বিয়ের নেশায় মেতে শ্রীঘরে পুলিশের SI]
দেশের জনগণের উন্নতি প্রসঙ্গে মুজিবকন্যা বলেন, “যখনই সুযোগ পাই জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করি। আওয়ামি লিগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে কারণ তাঁরা যেকোনও প্রয়োজনে দলকে সবসময় পাশে পান। বিএনপি জনগণের কল্যাণে কিছুই করে না। বরং নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলে। তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে পুড়িয়ে মারার কারণে পরাজয়ের ভয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা জানতো যে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।”
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নাম উল্লেখ না করে আরও বলেন, “একজন সামরিক স্বৈরশাসকের (বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান) দ্বারা গঠিত দলটি সবসময় এজেন্সিতে বিশ্বাস করে এবং তাদের সাহায্য ছাড়া তারা কিছুই করতে পারে না। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।” একই সঙ্গে তিনি প্রবাসীদের নিজেদের যোগ্য হিসাবে প্রস্তুত করতে বলেন, যাতে তাঁরা নিজেদের দেশ ও মানুষের সেবা করতে পারেন।