সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃদ্ধি (Puberty) নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা তুঙ্গে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের এক পর্যবেক্ষেণ, যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আদালত বলছে, বয়ঃসন্ধি পেরলেই বিয়ে করতে পারে মুসলিম মেয়েরা (Muslim Girls)। অর্থাৎ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য ১৮ বছর পেরোন বা সাবালিকা হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
এক মুসলিম নাবালিকা ও হিন্দু যুবকের বিয়ে সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে আদালত। মুসলিম পার্সোনাল ল-এ এই নিয়মের উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করেছেন হাই কোর্টের বিচারপতি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বয়ঃসন্ধি পেরোনর পর মেয়ের বিবাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না তাঁর পরিবারের সদস্যরা-ও।
[আরও পড়ুন: Weather Update: বর্ষশেষে উধাও শীত, ফের বাড়ল কলকাতা-সহ রাজ্যের তাপমাত্রা]
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্মালম্বী ১৭ বছর বয়সি একটি মেয়ে তাঁর হিন্দু প্রেমিককে বিয়ে করেছে। এই বিয়েতে মেয়েটির পরিবারের মত ছিল না। ফলে বিয়েটিকে অবৈধ বলে দাবি করছেন তাঁরা। এর বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করে ওই মেয়েটি। সেই সূত্র ধরে বিচারপতি গিল জানান, “মেয়েটি পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করছে মানে এটা নয় যে সে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।”
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারপতি ‘Principles of Mohammedan Law by Sir Dinshah Fardunji Mulla’-আইনের উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, এই আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মালম্বী মেয়েরা বয়ঃসন্ধি পেরলেই বিবাহযোগ্য। সেই সময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী পাত্রকে বিয়ে করতেই পারে। আর এই মামলায় পিটিশনারের বয়স ১৭ বছর। মুসলিম পার্সোনাল ল বলছে, মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে, এমনটাই মত বিচারপতির। দেশের ‘বেটি’দের বিয়ের বয়স যখন ২১ বছর করার পক্ষেও সওয়াল করে আইন আনতে চাইছে কেন্দ্র, ঠিক তখন আদালতের এহেন রায় নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। অন্তত তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।