গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টে সাময়িক স্বস্তি সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসের। পিয়ালী ওরফে মাম্পি দাসের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে ১২ দিনের জেল হেফাজত ও নতুন মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন করেছিল পুলিশ। কিন্তু হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল পরশু অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত নতুন কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। আগামিকাল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। পুলিশের তরফে নিম্ন আদালতে ১২ দিনের জেল হেফাজত ও আরও মামলা যুক্ত করার আর্জি জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে অন্য মামলায় ফাঁসানোর আশঙ্কা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মাম্পি দাসের আইনজীবী। তিনি বলেন, "আমার মক্কেল আদালতে জামিন চাইতে গিয়েছিল। সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় ফাঁসানো হতে পারে।" এর পরই রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য জানতে চান বিচারপতি। দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানায়, আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: সিপিএমই চায়নি ছোট দল সংসদে যাক! জোট ‘ঘেঁটে’ বিস্ফোরক নওশাদ]
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সেখানকার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের কীর্তিতে আঁতকে উঠেছিল গোটা বাংলা। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অন্য তথ্য। প্রকাশ্যে এসেছে স্টিং অপারেশনের ভিডিও। যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই বিস্ফোরক দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা মহিলারা। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে এধরণের অত্যাচার হয়নি। শাহজাহানদের বিরুদ্ধে জব কার্ডের টাকা না দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল। কিন্তু বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই কাগজ ব্যবহার করেই ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পরই সন্দেশখালি থানার পুলিশ পিয়ালি দাসকে নোটিস পাঠায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হলে গ্রেপ্তার করা হয় মাম্পিকে।