সুকুমার সরকার, ঢাকা: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন JMB’র পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড মকুবের আবেদন খারিজ করল ঢাকা হাই কোর্ট। আজ শুনানি শেষে আসামিদের আবেদন খারিজ এবং ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে রায় দেন বিচারপতিরা।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে জেএমবির বোমা হামলায় ঝালকাঠি আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহমেদ নিহত হন। এই খুনের মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসেন। ওই মামলার শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেন।
[আরও পড়ুন: ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশকে চাপ সৌদি আরবের]
এই কারণে সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসেনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পরের দিন হায়দারের ছেলে তারিক বিন হায়দার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দা আধিকারিক মোশারেফ হোসেন ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ সদস্য বেল্লাল, শাহাদাত, তানভীর, মুরাদ, সগিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
[আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২১ হাজার যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেলেনি করোনার সন্ধান ]
আজ সেই হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখল ঢাকা হাই কোর্ট( Dhaka High Court)। ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল হালিম ওই পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই পাঁচজন জঙ্গি হল রাজশাহীর বশির হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে আমির হোসেন, বরগুণার রহিম আকন্দের ছেলে আবু শাহাদাত তানভীর, খুলনার টুটপাড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেন, বরগুনার তালতলা গ্রামের শফিজুদ্দিনের ছেলে বেল্লাল হোসেন ও ঢাকার উত্তরখান এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে সগির হোসেন। এদের মধ্যে বেল্লাল হোসেন ও সগির হোসেন পলাতক। তাদের সন্ধানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাকি তিনজন জেলেই আছে।
The post পাঁচ JMB জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড মকুবের আবেদন খারিজ ঢাকা হাই কোর্টে appeared first on Sangbad Pratidin.