অর্ণব দাস, বারাসত: স্কুলের মধ্যে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি। সহকারী শিক্ষককে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছটপট করতে থাকেন ওই শিক্ষক। আতঙ্কিত হয়ে স্কুল ছাড়ে পড়ুয়ারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম কার্তিক পাল। নানারকমের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে ওই শিক্ষকের। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য টিফিন পিরিয়ডের পর স্কুল থেকে বেরনোর জন্য প্রধান শিক্ষকের অনুমতি চান। অনুমতি না মিললেও ওইদিন বেরিয়ে যান তিনি। শুক্রবার সময়মতো স্কুলে আসেন কার্তিকবাবু। এছাড়াও তাঁর দাবি, গত প্রায় ২ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা পান তিনি। সে টাকাও পরিশোধ করেননি প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ। তা নিয়েও দুই শিক্ষকের মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ জঙ্গি হামলা পাকিস্তানে, নমাজ চলাকালীন পেশোয়ারের মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০]
কার্তিক পালের দাবি, শুক্রবার স্কুলে ঢোকার পরই প্রধান শিক্ষক তাঁকে মারধর করেন। নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। জখম শিক্ষককে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। স্কুল ছেড়ে চলে যায় প্রায় সকলেই। এই ঘটনায় অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্তের যদিও দাবি, ওই শিক্ষক পড়ে গিয়ে আহত পেয়েছেন। তিনি কাউকে মারধর করেননি। তবে অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, প্রধান শিক্ষককে মারধর করতে দেখেছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।