সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে একাধিক রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। ফলে সংরক্ষণাগারে মজুত করা টিকা পড়েই রয়েছে। আগামী বছরের গোড়ার দিকে করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা। সেই প্রতিষেধক কোথায় সংরক্ষণ করা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্যান্য টিকা ব্যবহার করে না ফেললে কোভিড টিকা রাখার জায়গা মিলবে না। ফলে কোভিড টিকা সংরক্ষণের বিকল্প পথ খুঁজছে বাংলাদেশ।
লকডাউনের কারণে হাম, রুবেলা, নিউমোনিয়া-সহ মোট ১০টি রোগের টিকাকরণ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। পরবর্তী সময়ে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ফিল্ড ওয়ার্কাররা বেতনবৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ অর্থাৎ শনিবার থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতির জন্য তা শুরু করা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে ২৭০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে এসব রোগের টিকা এবং তার সামগ্রী কেনা হয়েছিল। ২০২১এর জুলাই মাস পর্যন্ত সেসব ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু টিকাদান কর্মসূচি শুরু না হওয়ায় সেসব মজুত হয়েই পড়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও অব্যবহৃত প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ভ্যাকসিন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কখনও ক্ষমা নয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে পাক রাষ্ট্রদূতকে ক্ষোভপ্রকাশ হাসিনার]
টিকাকরণ কর্মসূচিতে যুক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, ২০২১এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্তত হাম-রুবেলার ভ্যাকসিনগুলি ব্যবহার করতে হবে। তা নইলে ওই সময়ের মধ্যে যদি করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) হাতে পৌঁছে যায়, তাহলে তা সংরক্ষণের অসুবিধা দেখা দেবে। এই আসন্ন সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে ভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্তার আশ্বাস, বেতনবৃদ্ধি-সহ যে একাধিক দাবি রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তা দ্রুত সমাধান করে তাঁদের কাজে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে সমস্যা মিটলে হয়ত চলতি মাস থেকেই শিশুদের হাম-রুবেলা টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।