মলয় কুণ্ডু: করোনার পরিস্থিতিতে দেশে অক্সিজেন ও হাসপাতালে শয্যার সংকট। ‘শ্বাসবায়ুর’ অভাবে মৃত্যু হচ্ছে বহু কোভিড (Corona Virus) আক্রান্তের। মিলছে না হাসপাতালে বেডও। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর একগুচ্ছ নির্দেশ দিল। একদিকে যেমন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে সংরক্ষিত বেড সংখ্যা না কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেমনই অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
- কী জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন?
বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের ৬০ শতাংশ শয্যা কোভিড চিকিৎসার জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে - বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে সংরক্ষিত বেড সংখ্যা না কমানো যাবে না।
- কোভিডে আক্রান্তদের মৃত্যু হলে পুরসভা, থানার মধ্যে সমন্বয় রেখে তাঁদের সৎকারের হবে।
সৎকার হবে সম্পূর্ণ নিখরচায়। - বাড়িতে মৃত্যু হলে পুরসভার গাড়ি দেহ নিয়ে গিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করবে। তবে গাড়ি বা সৎকারের দরুণ কোনও খরচ লাগবে না।
- বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলে মৃতদেহ বহনকারী ভ্যানকে এতদিন ৫ হাজার টাকা দিতে হত। এবার থেকে সেই খরচ কমিয়ে করা হল ৩ হাজার টাকা। এই খরচ বহন করবে পরিবার।
[আরও পড়ুন : এবার করোনার কবলে শতরূপ ঘোষ, কেমন আছেন কোভিড আক্রান্ত মদন মিত্র?]
- এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে প্রতিদিন ২২৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ২৭৯ মেট্রিক টন অক্সিজেন। উদ্বৃত্ত অক্সিজেন চেয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু রাজ্যের যুক্তি, প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে উদ্বৃত্ত অক্সিজেন দে্ওয়া সম্ভব নয়। পালটা কেন্দ্র জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে ৮৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন রাজ্যকে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই শর্তে রাজি নয় বাংলা। স্বাস্থ্য কমিশনের দাবি, রাজ্যের উদ্বৃত্ত অক্সিজেন রাজ্যেই থাকুক।
- দেশজুড়ে অক্সিজেনের সংকটের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করছে কেন্দ্র। এর ১০ শতাংশ অক্সিজেন চেয়েছে রাজ্য।
- অক্সিজেন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোভিড রোগীর অগ্রাধিকার পাবেন। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন থাকা বাধ্যমূলক।
দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।