নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: একে করোনায় (CoronaVirus) রক্ষে নেই, দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনা কালে ভয়াবহ এই রোগ এবার বাস্তবিকই মহামারীর আকার নিচ্ছে। দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু কোভিডজয়ী। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাগ ফাঙ্গাস ধরা পড়েছে ৮ হাজার ৮৪৮ জনের শরীরে। মাত্র কয়েকদিনে সংক্রমণের এই গতি ভাবিয়ে তুলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে (Ministry of Health)।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কৃষ্ণ ছত্রাক (Black Fungus) সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজের রাজ্য গুজরাটে। সেখানে এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ২ হাজার ২৮১ জন। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার জন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৯১০ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৭২০ জন এই মারণ ছত্রাকের কবলে পড়েছেন। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বেশি, সেই সেই রাজ্যে বেশি করে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই যুক্তি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে গুজরাটে। সেরাজ্যে গিয়েছে ওষুধের ৫ হাজার ৮০০টি ডোজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তাঁর পেয়েছে ৫ হাজার ৯০টি ডোজ। বাংলায় যেহেতু এখনও আক্রান্তের সংখ্যা কম, তাই বাংলার কপালে জুটেছে AMPHOTERICIN B’র মাত্র ৫০টি ডোজ। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ AMPHOTERICIN B’র উতপাদন বাড়ান হচ্ছে। এবং আগামী দিনে রাজ্যগুলি প্রয়োজন মতো ওষুধ পাবে।
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুমিছিলের মধ্যেও ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্যস্ত সরকার! মোদিকে পত্রবাণ প্রাক্তন আমলাদের]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাগ ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করার নির্দেশ গিয়েছে কেন্দ্রের তরফে। রাজস্থান, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য সেটা করেও দিয়েছে। যদিও, নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একেবারেই নতুন রোগ নয়। মূলত শুগারের রোগীদের শরীরে এই রোগ দেখা দিচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় শুগার রোগিরা বেশি পরিমাণ স্টেরয়েড ব্যবহার করায় এই সমস্যা হচ্ছে। কালো ছত্রাক নামে পরিচিত এই ছত্রাকটি বাসা বাঁধছে করোনা রোগীদের ফুসফুসে। কেন্দ্র সবরকম ভাবে এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন তিনি।