অভিরূপ দাস: সরকারি মাল্টিসুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড এই মুহূর্তে আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমের (SSKM) জরুরি বিভাগে আগুন লাগার ঘটনায় এখনও চাপা আতঙ্ক। অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে হাসপাতালে। যার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে রোগীদের কিছুটা হয়রানি হচ্ছে। রাতের আগুনে সিটি স্ক্যান মেশিন পুড়ে গিয়েছে, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ইউএসজি (USG) মেশিন। তবে এসব ছাপিয়ে এখন চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের মন্তব্য। এদিন তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে না কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আগুন লেগেছে। তবে কি অন্তর্ঘাতের (Sabotage) গন্ধ পাচ্ছেন? এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি স্বাস্থ্যসচিব। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার আগে এসএসকেএমের নিউরোসার্জারি জরুরি বিভাগে আগুন (Fire) লাগে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নেভে। ততক্ষণে জরুরি বিভাগে থাকা ৪৫ জন রোগীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রমা ডিজাস্টার ওয়ার্ডে। রাতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু বোঝা যায়নি। সকাল হতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সিটি স্ক্যান মেশিন পুড়ে গিয়েছে। ইউএসজি মেশিন আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই মুহূর্তে সিটি স্ক্যান হচ্ছে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি, রামরিক ও ট্রমা কেয়ারে। আর ইউএসজি চলছে ট্রমা কেয়ার, স্ত্রীরোগ বিভাগ ও মেন বিল্ডিংয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুল গান্ধী রাষ্ট্র ও হিন্দুদ্রোহী’, সাভারকর বিতর্কে তোপ হিমন্ত বিশ্বশর্মার]
কী কারণে ঘটল এই অগ্নিকাণ্ড? তা জানতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন হাসপাতালের সুপার। এছাড়া ৬ সদস্যের ফরেনসিক দলও তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে শুক্রবার সকালে এসএসকেএমের দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কী কারণে এমনটা হল। সবদিক আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে না যে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটা হয়েছে। আমাদের এখানে ফায়ার অডিট, ফরেনসিক অডিট সব হয়।” যান্ত্রিক ত্রুটি নয়? তবে কি অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত পাচ্ছেন স্বাস্থ্যসচিব? তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া অবশ্য কোনও অনুমান বা অভিযোগের ভিত নেই।