সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারী (Pandemic) পরিস্থিতি। প্রায় প্রতিদিনই চেনা পরিচিত কারও না কারও করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। চারদিকে বেড, অক্সিজেনের হাহাকার। গঙ্গার জলে মৃতদেহ ভাসার মতো শিউরে দেওয়া খবর। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ঘরবন্দি জীবন। অশান্ত মনে ঘুম জানলা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু, কষ্ট করে হলেও নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে আপনাকে হবেই! এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর শক্তি।
এমনিতেই পর্যাপ্ত ঘুমের কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এই সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রাম পায়। আর এই সময়ই শরীরের কোষ আর স্নায়ুগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ক্ষতিকারক জীবাণু ও সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। মনের মধ্যে যতোই দুশ্চিন্তা থাক, দেখবেন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে তার প্রভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে। তেমনই স্নায়ুর উপর চাপ পড়লে মস্তিষ্ক এবং শরীরে ক্লান্তি আসে। ঘুমের মাধ্যমেই তা কাটানো সম্ভব।
[আরও পড়ুন: ১২ ঊর্ধ্বদের জন্য তৈরি টিকা! ভারতে ভ্যাকসিন আনতে চেয়ে মোদি সরকারের দ্বারস্থ ফাইজার]
এবার আসা যাক টি-সেলের (T cell) কথায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলে দাবি গবেষকদের একাংশের। তাঁদের যুক্তি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে এই কোষ। কোনও বেগতিক দেখলেই নাকি কোষে কোষে বিপদ সংকেত পাঠিয়ে দেয় টি-সেল। যাতে কোষগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য তৈরি থাকে। ঘুমের সময়ই এই কোষের আধিক্য দেখা যায়।
কতক্ষণ একজন মানুষের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত? ব্যক্তি বিশেষে সময়ের পার্থক্য থাকতে পারে। তবে, প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের ৮ ঘণ্টা ঘুমকে পর্যাপ্ত মনে করা হয়। গবেষকরা বলছেন, এর কম ঘুম হলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আর যাঁরা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন তাঁদের শরীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সবচেয়ে কম থাকে। হ্যাঁ, এই অশান্ত সময়ে অনেকেরই রাতে ঘুম হচ্ছে না। একটু চেষ্টা করতেই হবে। কিছু নিয়ম মানতে পারেন। রাতে শোয়ার আগে ভাল কিছু দেখুন বা শুনুন। সুগন্ধী তেল ব্যবহার করলেও মন শান্ত হয়। আর মোবাইল বা ল্যাপটপের সময় শোয়ার সময় অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখবেন। লড়াই করার শক্তি পেতে গেলে একটু বিশ্রাম তো নিতেই হবে।