ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও অরিজিৎ গুপ্ত: এখনও মৃত্যুর সঙ্গে ঐন্দ্রিলা শর্মার লড়াই চলছে। জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রীর। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। পাশে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা এবং সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ সংকটজনক পরিস্থিতি ঐন্দ্রিলার। শনিবার তাঁর ট্রাকিওস্টোমি করা হয়েছে।
পয়লা নভেম্বরের রাতে ঐন্দ্রিলাকে ভরতি করা হয় হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে। জানা যায়, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অভিনেত্রী। রাতেই তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। তারপর থেকে কোমায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০। পালস্ রেট প্রতি মিনিটে ১১২।
[আরও পড়ুন: বিরল রোগে আক্রান্ত বরুণ ধাওয়ান!, কাজ থেকে নিলেন বিরতি]
কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের জগতে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন ঐন্দ্রিলা। স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তুলির ভূমিকায়। বহুদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একবার নয় দু-দু’বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। দু’বারই ক্যানসারকে হার মানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সুস্থ হয়ে ফের কাজ শুরু করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সব্যসাচী ও তাঁর বেশ সুন্দর সময় কাটছিল। কিন্তু ফের ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকন্ঠায় তাঁর পরিবার। দুশ্চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরাও। সবার উদ্দেশেই সব্যসাচী ফেসবুক পোস্টে লিখলেন, ”ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না।”