অভিরূপ দাস: লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে রয়েছে মাধবী মুখোপাধ্যায়ের (Madhabi Mukherjee) শরীরে। এদিন সকালেই আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি লিটারে ১২০ গ্রামের কম রয়েছে।
হাসপাতালের সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. রূপালী বসু জানিয়েছেন, অভিনেত্রীর চিকিৎসায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. বিশ্বজিৎ ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে৷ ডাক্তারদের এই দল প্রতিনিয়ত মাধবী মুখোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজর রাখছে৷ এদিন অভিনেত্রীর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহণ করে, অভিনেত্রীর রক্তে এই হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় দেহের নানান অঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ‘আবার বিয়ে করবেন?’, একটি শব্দেই অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন করিশ্মা কাপুর]
উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর বয়স এখন ৮০ বছর। শুক্রবার অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গত কয়েক দশক ধরেই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ে সমস্যাও রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়েবেটিসের কারণে ঝিমিয়ে রয়েছেন প্রবীণ অভিনেত্রী। ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পাচ্ছে না। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রস্রাবের ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
চিকিৎসকদের ধারণা এই কারণেই প্রবীণ অভিনেত্রীর শরীর ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মাধবীকন্যা মিমি ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করা যায়নি। তার ফলেই হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে সুগার।” মায়ের হাত ধরে থিয়েটারের রঙিন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। তখন অবশ্য তাঁর নাম ছিল মাধুরী। সিনেমায় তিনি প্রথম অভিনয় করেন প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘দুই বেয়াই’ ছবিতে। মাধবী ছিলেন সত্যজিতের ‘চারুলতা’। অভিনয় করেন ‘কাপুরুষ’ ছবিতেও। বাংলা চলচ্চিত্রের তিন মহীরূহ সত্যজিৎ, ঋত্বিক, মৃণাল – এঁদের সবার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাই তাঁর হয়েছে। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ ছবিতে তিনি হয়েছিলেন ‘আরতি’।