সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্বেগের খবর শোনাল আইসিএমআর। তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি, একাধিক রোগ-ব্যাধির নিরাময় আগের তুলনায় আরও কঠিন হচ্ছে। কারণ, একাধিক রোগ-ব্যাধি সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়ার উপর অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব ক্রমশ কমে আসছে। ফলে বেশিরভাগ ব্যাধিই ধীরে ধীরে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে।
এই তালিকায় রয়েছে ইউটিআই (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন), রক্তের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, সেপসিস, ডায়েরিয়া প্রভৃতি। বিশেষ করে ই কোলাই, ক্লিবসিয়েল্লা নিউমোনিয়া, সিউডোমোনাস ইরুজিনোসা, স্ট্যাফাইলোকক্কাই এরিয়াসের মতো ব্যাকটিরিয়া দিন দিন অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে বলেই আইসিএমআর-এর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ) অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সারভেইল্যান্স নেটওয়ার্কের বার্ষিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে (এই তালিকায় আইসিইউ-র রোগী এবং আউটপেশেন্টরাও আছেন) এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংগৃহীত তথে্যর ভিত্তিতেই এই ফলাফল। মোট ৯৯,৪৯২টি নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। আর তা থেকেই জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে ই কোলাই ব্যাকটিরিয়া।
সিফোট্যাক্সিম, সেফটাজিডিম, সিপরোফ্লোক্সেসিন, লিভোফ্লোক্সাসিনের মতো পরিচিত অ্যান্টিবায়োটিক আগের তুলনায় এই ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধে অন্তত ২০ শতাংশ কম সক্ষম হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে আইসিএমআর-এর রিপোর্টে। একইভাবে ক্রমশ অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট হয়ে উঠছে ক্লিবসিয়েল্লা নিউমোনিয়া এবং সিউডোমোনাস ইরুজিনোসার মতো ব্যাকটিরিয়া। এরা পিপেরাসিলিন-ট্যাজোব্যাকটাম, ইমিপেনাম এবং মেরোপেনামের মতো অ্যান্টিবায়োটিকে আগের মতো দ্রুতভাবে কাজ করছে না। কম সক্রিয় হয়ে উঠছে অ্যামিকাসিন এবং মেরোপেনামের মতো অ্যান্টিবায়োটিকও।
শুধু তাই নয়, আইসিএমআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্যাস্ট্রোএনটেরোটাইটিসের মতো রোগ,যার মূলে রয়েছে স্যালমোনেলা টাইফির মতো ব্যাকটিরিয়া–সেটিও আগের তুলনায় ফ্লুরোকিউনোলোনাসের মতো অ্যান্টিবায়োটিক গোত্রের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশেরও বেশি প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।