shono
Advertisement
Brain-eating amoeba

মগজখেকো অ্যামিবার ভয়ে শবরীমালার পুণ্যার্থীদের স্নানে নিষেধাজ্ঞা কর্নাটক সরকারের, কী এই রোগের লক্ষ্মণ?

কতটা প্রাণঘাতী এই সংক্রমণ?
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 07:53 PM Nov 19, 2025Updated: 08:54 PM Nov 19, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'মস্তিষ্কখেকো' অ্যামিবা বা নিগ্লেরিয়া ফাউলেরির সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে শবরীমালা তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে কর্ণাটক সরকার। কর্ণাটক স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্য থেকে কেরলে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের নদী, হ্রদ বা অন্যান্য মিষ্টি জলের উৎসগুলিতে স্নান করা এড়িয়ে চলার পরামর্শ জারি করেছে।

Advertisement

কেন এই সতর্কতা?
নিগ্লেরিয়া ফাউলেরি নামক এই মারাত্মক অ্যামিবা 'প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস' (PAM) নামক গুরুতর সংক্রমণ ঘটায়। এই অ্যামিবা সাধারণত স্থির বা অপরিষ্কার জল, যেমন পুকুর, হ্রদ, ডোবা বা ভেজা মাটিতে জন্মায়। অ্যামিবা একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়ায় না। আবার দূষিত জল পান করলেও সংক্রমণ হয় না। এটি শুধুমাত্র নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে পৌঁছোয়। সেখানে এটি তীব্র সংক্রমণ তৈরি করে।

কেরলে এ বছর প্রায় ১০০ জন মানুষ PAM সংক্রমণে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে শুধু চলতি মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ জনেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে ১৯ জনের। এ কারণে শবরীমালা তীর্থযাত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি আয়াপ্পার দর্শন পেতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে শবরীমালার পাহাড়ি মন্দিরে। আর সেই উৎসবের পূণ্যার্থীদের সতর্ক করতে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ।

অ্যাডভাইজরিতে কী বলা হয়েছে?
কর্ণাটক সরকারের অ্যাডভাইজরিতে শবরীমালা তীর্থযাত্রীদের পরিষ্কার বা ক্লোরিনযুক্ত সুইমিং পুলের জল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ধর্মীয় স্নান বা ডুব দেওয়ার সময় সকলকে নোজ ক্লিপ ব্যবহার করতে বা নাক শক্ত করে বন্ধ করে রাখতে বলা হচ্ছে। কারণ, জলে অ্যামিবা থাকলে তা নাকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছোয়। তাই নাক বন্ধ রেখে স্নান করলে সেই আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে। যদিও স্নান না করার পরামর্শই সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে।

PAM-এর লক্ষণ ও চিকিৎসা
PAM একটি অত্যন্ত মারাত্মক সংক্রমণ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী। এর লক্ষণগুলি হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে। প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। কী কী?

১) তীব্র জ্বর।
২) অসহ্য মাথাব্যথা।
৩) বমি বমি ভাব এবং বমি।
৪) সাঙ্ঘাতিক কাঁপুনি।
৫) ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। মেনিনজাইটিসের মতো লক্ষণ।
৬) আলো সহ্য না হওয়া।
৭) মানসিক বিভ্রম তৈরি হওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের চিকিৎসায় সাধারণত অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ব্যবহার করা উচিত। এর সাথে রিফাম্পিন, ফ্লুকোনাজল এবং মিল্টেফোসিন সহ আরও কিছু ওষুধের কম্বিনেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমিয়ে এনে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • নিগ্লেরিয়া ফাউলেরি নামক এই মারাত্মক অ্যামিবা 'প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস' (PAM) নামক গুরুতর সংক্রমণ ঘটায়।
  • নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে পৌঁছোয় এই অ্যামিবা।
  • কেরলে প্রায় ১০০ জন এই রোগে আক্রান্ত।
Advertisement