সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো ক'দিন বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে চলে তুমুল হইহুল্লোড়। চলে পেটপুজো আর রাতভর পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখা। তবে, অনেকটা পথ হাঁটলে পায়ের তলায় মারাত্মক ব্যথা দেখা দেয়। এমনকী পায়ের পেশিতেও টান ধরার আশঙ্কা থাকে। অনেকে মনে করেন, শুধু ক্লান্তি থেকেই এই ব্যথা। কিন্তু নেপথ্যে রয়েছে আরও কিছু শারীরিক কারণ। তাই আগে থেকে সঠিক প্রস্তুতি নিলে ব্যথা সহজেই এড়ানো সম্ভব। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন ডাঃ দীপ চক্রবর্তী।
অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করলে সাধারণত আমাদের পায়ের দুটি প্রধান অংশে এর প্রভাব পড়ে। প্রথমটি আমাদের পায়ের পাতার নিচে অবস্থিত ফ্যাট প্যাড। দ্বিতীয়, পায়ের পেশি।
ফ্যাট প্যাড গোড়ালির ঠিক নিচে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক কুশনের মতো কাজ করে। আমাদের রোজকার হাঁটার সময় আঘাত থেকে গোড়ালিকে বাঁচায়। অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করলে এই ফ্যাট প্যাডটি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
পায়ের কাফ মাসল এবং পাতার ভেতরের ছোট ছোট পেশিগুলিও বেশি হাঁটার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই পেশিগুলো স্বাভাবিক ভাবে অতটা চাপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে না, যার ফলে পেশিতে টান বা ক্র্যাম্প হতে পারে।
হঠাৎ হাঁটার চাপ সামলাতে শরীরকে আগে থেকে প্রস্তুত করা জরুরি। দুটি সহজ ব্যায়াম এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
হিল রেইজেস (Heel Raises)
পদ্ধতি: সোজা হয়ে দাঁড়ান। ধীরে ধীরে আপনার গোড়ালি মাটি থেকে ওপরের দিকে তুলুন। পায়ের সামনের আঙুলের উপর দেহের ভর থাকবে। পাঁচ সেকেন্ড এই অবস্থান ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে গোড়ালি নামিয়ে দিন। এই ব্যায়ামটি কাফ মাসলকে শক্তিশালী করে তোলে।
নিয়ম: শুরুতে প্রতিদিন ১০০ বার করে করুন। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ থেকে ৩০০ বার পর্যন্ত নিয়ে যান।
টাওয়েল ক্রাঞ্চেস (Towel Crunches)
পদ্ধতি: মেঝেতে একটি তোয়ালে বা গামছা রাখুন। আপনার পা তোয়ালের উপর রাখুন এবং পায়ের আঙুল ব্যবহার করে তোয়ালেটি নিজের দিকে টানতে থাকুন। এই ব্যায়ামটি পায়ের পাতার ভেতরের পেশিগুলোকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তোলে। এটি ব্যালেন্স এবং স্ট্যাবিলিটি বাড়ায়।
নিয়ম: প্রতিদিন ৩ থেকে ১০ বার এটি অনুশীলন করতে পারেন।
