সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কমলালেবুর কোয়ার স্বাদ চেখে ঘুরে বেড়াবার মোক্ষম সময় এই শীত। প্রকৃতির শুষ্ক ঠান্ডা বাতাসে যেন মন চনমনে হয়ে ওঠে। তবে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের কিন্তু বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় এই ঋতুতে। শীত এলেই সর্দিকাশি। ঠান্ডা লেগে জ্বর, গায়ে ব্যথা। আবার অনেকের ঠোঁটের কোণে দেখা দেয় জলভরা ফোসকা। এই ফোসকা ফেটে গিয়ে রক্তও বেরোয়। চলতি কথায় একে বলে জ্বরঠোসা। ডাক্তারি পরিভাষায় বলে 'কোল্ড সোর'। এই রোগের প্রভাবে বেশ অস্বস্তি তৈরি হয়। যদিও নিজে থেকে এটি কমে যায় কয়েক দিনের মধ্যেই। কিন্তু যদি তা না কমে, সেক্ষেত্রে বিড়ম্বনা বাড়তেই থাকে।
কীভাবে প্রতিহত করবেন?
(১) শীতের মরসুমে বাইরে বেরলে SPF 30 বা তার বেশি রয়েছে এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন।
(২) সুষম খাবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য খান। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
(৩) কোল্ড সোর আক্রান্ত স্থান হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। যদি স্পর্শ করেন, তবে দ্রুত হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
(৪) আক্রান্ত অবস্থায় তোয়ালে, রেজার, বাসনপত্র বা লিপস্টিক অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে ব্যবহার করবেন না।
(৬) যদি প্রায়ই কোল্ড সোর হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাসাইক্লোভির বা অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করুন। লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে আর সমস্যা বাড়ে না।
(৭) কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, L-লাইসিন সাপ্লিমেন্ট ভাইরাসকে দমন করতে এবং কোল্ড সোরের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
(৮) ঘা-এর ওপর হালকা ঠান্ডা বা বরফের সেঁক দিলে ফোলা ও ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
